তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, একসময় লাইব্রেরিতে গিয়ে মানুষের পড়ার প্রতি ছিল ঝোঁক। এখন স্মার্টফোন সেই অভ্যাস কেড়ে নিয়েছে। বিল গেটস তার সন্তানদের বয়স ১৬ বছর হওয়ার আগে স্মার্টফোন দেননি। এই ফোনের অপব্যবহার সম্পর্কে অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে।
শনিবার কবি আবদুর রউফ ও মনজিল মুরাদ লাভলুর দুটি কাব্যগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সাংবাদিক আজাদ তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অংশ নেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক সেকান্দর চৌধুরী, আগ্রাবাদ মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ড. আনোয়ারা আলম প্রমুখ।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, কবিতা মনের ভাব প্রকাশ করার শক্তিশালী একটি মাধ্যম। কবিতা মনের কথা বলে, সমাজের কথা বলে। এটি মানুষকে পরিশীলিত হওয়ার শিক্ষা দেয়, প্রতিবাদী হতে উদ্বুদ্ধ করে। সমাজে সাম্য প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখে কবিতা।
তিনি বলেন, কয়েক বছর আগেও কাগজে ছোটদের পাতা থাকত। শিক্ষার্থীরা কবিতা লিখত। সে কবিতা ছাপা হলে দেখতাম তাদের বাঁধভাঙা উল্লাস। সেটি এখন আর নেই। কাগজে এখন ছোটদের পাতা তেমন থাকে না, কবিতাও লেখা হয় না। শৈশবের স্মৃতিচারণ করে মন্ত্রী বলেন, আমিও ছোটবেলায় কবিতা লিখতাম। আমার অনেক কবিতা চট্টগ্রামের বিভিন্ন কাগজে ছাপা হয়েছে।
ড. হাছান মাহমুদ আক্ষেপ করে বলেন, রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হওয়ার পর এখন আর কবিতা লেখা হয়ে ওঠে না। তবে অভিভাবকদের প্রতি আবেদন থাকবে, আপনারা সন্তানদের সাহিত্য পাঠে উদ্বুদ্ধ করুন। স্মার্টফোন দেওয়ার পরিবর্তে বই তুলে দিন। তাহলে আমাদের সন্তানদের যথাযথ মানসিক বিকাশ ঘটবে।
তথ্যমন্ত্রী কবি আবদুর রউফের প্রশংসা করে বলেন, ছাত্রজীবন থেকে তিনি সাহিত্যপ্রেমী ছিলেন। শিক্ষকতায় নিজের অর্জিত জ্ঞান বিলিয়েছেন। মনজিল মুরাদ লাভলুর কাব্যগ্রন্থ সময়োপযোগী উল্লেখ করে তার লেখনীর ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি।