চট্টগ্রাম একটি খাবারের দোকানের স্টোর রুম থেকে এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাকে হামানদিস্তার মুষল দিয়ে দোকান কর্মচারী খুন করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সোমবার গভীর রাতে নগরের হালিশহর হাউজিং এর ‘কে’ ব্লকের ‘কে এস স্পাইসি ক্যাফের’ স্টোর রুম থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত লাকী আক্তার ওই আবাসিক এলাকার ‘কে’ বস্নকের ৬ নম্বর রোডের বাসিন্দা। তিনি বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জ উপজেলার গুলশাখালী গ্রামের হারুনুর রশিদ হাওলাদারের মেয়ে। তার স্বামী শানমুগাম শ্রীলংকান নাগরিক। তিনি চট্টগ্রাম ইপিজেডের একটি কারখানায় কাজ করেন। তাদের চার সন্তান রয়েছে। দোকানটির মালিক লাকী আক্তার নিজেই। দোকানটির ম্যানেজার ছিলেন খালেদ নূর নামের এক যুবক। ঘটনার পর থেকে সে পলাতক। খুনের ঘটনায় তাকে সন্দেহ করছে পুলিশ।
লাকী আক্তারের ভাই মো. মামুন সমকালকে বলেন, ‘সোমবার রাত সাড়ে ১১টার পরও বাসায় না আসায় তাকে খুঁজতে দোকানে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি দোকান বন্ধ। পাশে একটি কক্ষে থাকতেন দোকানের ম্যানেজার খালেদ নূর। তার কক্ষটিও তালাবন্ধ। ফোনেও তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। এরপর লোকজনকে ডেকে দোকানের তালা ভেঙ্গে দেখি স্টোর রুমে লাশ পড়ে আছে।’ দোকানের বেচাকেনার টাকার হিসাব নিয়ে তর্কাতর্কির জের ধরে তার বোনকে খুন করা হয়েছে বলে ধারণা করছে মামুন।
হালিশহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এস এম ওবায়দুল হক বলেন, ‘স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে খবর পেয়ে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। তাকে হামানদিস্তার মুষল দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তার মুখ থেঁতলে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার পর দোকানের ম্যানেজারকে পাওয়া যাচ্ছে না। তাকে আমরা গ্রেফতারের চেষ্টা করছি। তাকে গ্রেফতার করা হলে হত্যাকােণ্ডর আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে।’