সরকারি সফরে লন্ডনে অবস্থানরত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকল সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাকে ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবেলায় সমন্বিতভাবে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়।
এতে আরও বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় ফণীর বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানার সম্ভাবনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ও সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন।
প্রধানমন্ত্রী ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার আগেই মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসার নির্দেশ দিয়েছেন। ইতোমধ্যে স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় উপকূলীয় এলাকা থেকে মানুষজনকে নিকটবর্তী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র এবং স্কুল-কলেজে নিয়ে আসা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক তার কার্যালয়ের তত্ত্বাববধানে সারাদেশে দুর্যোগ মোকাবিলার প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলারও প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী, কোস্টগার্ডসহ সকল আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকেও দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। তার নির্দেশ মোতাবেক সংশ্লিষ্ট বাহিনী ইতোমধ্যে যথাযথ প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
প্রধানমন্ত্রী ঘূর্ণিঝড় ফণীর সম্ভাব্য আঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে দেশবাসীকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব মো, নজিবুর রহমান উপকূলবর্তী জেলাগুলোর প্রশাসনের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে দুর্যোগ মোকালিবার প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশনা প্রদান করেছেন। সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় শুক্রবার ও শনিবার খোলা রাখা হয়েছে। উপকূলীয় এলাকার সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে।