অসুস্থ হয়ে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা নিয়ে দেশের মানুষের কাছে সুস্থভাবে আবার ফিরে আসায় সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে তাকে বহনকারী বিজি ০৮৫ ফ্লাইটটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এরপর বিমান বন্দরের ভিভিআইপি লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনে ওই কৃতজ্ঞতার কথা জানান ওবায়দুল কাদের। এর মধ্য দিয়ে প্রায় আড়াই মাস পর সাংবাদিকদের মুখোমুখী হলেন এই রাজনৈতিক নেতা।
তিনি বলেন, আমি আমার প্রাণপ্রিয় দেশবাসীর সামনে আবার আসতে পারব; যা ছিল অকল্পনী, অবিশ্বাস্য। কিন্তু আমি আপনাদের কাছে ফিরে এসেছি। আর এজন্য মহান শ্রষ্টা ও পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ নিরাময়দাতার প্রতি জানাচ্ছি অসীম কৃতজ্ঞতা।
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ওবায়দুল কাদের গত ৩ মার্চ ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের ইনটেনটিভ কেয়ার ইউনিটে ভর্তি হন। শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও এনজিওগ্রাম করে তার হার্টে তিনটি ব্লক পাওয়া গেলে একটি ব্লকে রিং পরানো হয়। শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হলে তাকে ভেন্টিলেশনের মাধ্যমে কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যবস্থা করা হয়।
ভারতের প্রখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. দেবী শেঠির পরামর্শে ৪ মার্চ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ওবায়দুল কাদেরকে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের আইসিইউতে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ফিলিপ কোহের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা চলে তার।
২০ মার্চ কার্ডিও থোরাসিক সার্জন ডা. শিভাথাসান কুমারস্বামীর নেতৃত্বে সেতুমন্ত্রীর বাইপাস সার্জারি করা হয়। ছয়দিন পর তাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। এক মাস চিকিৎসা শেষে ৫ এপ্রিল ওই হাসপাতাল ছাড়লেও ফলোআপ চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে ছিলেন তিনি।