আট মাসে সড়কে নিহত ৩০৭৫ জন

accident--5d7283e851476

গত আট মাসে দুই হাজার ৮০৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৮৪ জন নারী, ৪৭৮ শিশুসহ তিন হাজার ৭৫ জনের প্রাণহানি হয়েছে। আহত হয়েছেন পাঁচ হাজার ৬৯৭ জন। ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কে এসব দুর্ঘটনা ঘটে।

শুক্রবার গণমাধ্যমকর্মীদের সংগঠন শিপিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন রিপোর্টার্স ফোরামের (এসসিআরএফ) নিয়মিত মাসিক জরিপ ও পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। দেশের ২২টি জাতীয় দৈনিক, ১০টি আঞ্চলিক সংবাদপত্র এবং আটটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও সংবাদ সংস্থার তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে বলে সংগঠনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, জানুয়ারিতে ৩৮৩টি দুর্ঘটনায় ৫৩ জন নারী, ৭১ শিশুসহ ৪১১ জন নিহত ও ৭২৫ জন আহত হয়েছেন। ফেব্রুয়ারিতে ৪০১টি দুর্ঘটনায় ৪১৫ জন নিহত এবং ৮৮৪ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৫৮ জন নারী ও ৬২ শিশু রয়েছে। মার্চে ৩৮৪টি দুর্ঘটনায় ৪৬ নারী, ৮২ শিশুসহ ৩৮৬ জন নিহত এবং ৮২০ জন আহত হয়েছেন। এপ্রিলে দুর্ঘটনা ঘটেছে ৩২৭টি। এতে ৩৪০ জন নিহত ও ৬১০ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৩৮ জন নারী ও ৫৩ শিশু রয়েছে। মে মাসে ২৯৭টি দুর্ঘটনায় ৪৭ জন নারী, ৪৪ শিশুসহ ৩৩৮ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৫০৪ জন। জুনে ৩৬৭টি দুর্ঘটনায় ৪৯ জন নারী, ৬৯ শিশুসহ ৪৩৯ জন নিহত এবং ৮১৮ জন আহত হন। জুলাইয়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে ৩১১টি। এতে নিহত ও আহত হয়েছেন যথাক্রমে ৩৪৮ জন ও ৫১৩ জন। নিহতদের মধ্যে ৪৬ জন নারী ও ৪০ শিশু রয়েছে। এ ছাড়া আগস্টে ৩৩৭টি দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ঘটেছে ৩৯৮ জনের; যার মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা যথাক্রমে ৪৭ জন ও ৫৭ জন। এসব দুর্ঘটনায় ৮২৩ জন আহত হয়েছেন।

এসসিআরএফ সভাপতি আশীষ কুমার দে জানান, তাদের নিয়মিত পর্যবেক্ষণে সড়ক দুর্ঘটনার জন্য ১০টি প্রধান কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে- চালকদের মধ্যে প্রতিযোগিতা ও বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর প্রবণতা, অদক্ষ চালকের কাছে দৈনিক চুক্তিভিত্তিক গাড়ি ভাড়া, ত্রুটিপূর্ণ গাড়ি চলাচল ও লাইসেন্সবিহীন চালক নিয়োগ, বিধি লঙ্ঘন করে ওভারলোডিং ও ওভারটেকিং, সড়ক-মহাসড়কে মোটরসাইকেলসহ তিন চাকার যানবাহন চলাচল বৃদ্ধি, ব্যস্ত সড়কে স্থানীয়ভাবে তৈরি ইঞ্জিনচালিত ক্ষুদ্রযানে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন, বিরতি ছাড়াই দীর্ঘ সময় ধরে গাড়ি চালানো, পথচারীদের মধ্যে সচেতনতার অভাব, জনবহুল এলাকাসহ দূরপাল্লার সড়কে ট্রাফিক আইন ভঙ্গ এবং বিভিন্ন স্থানে সড়কের বেহাল দশা।

তিনি বলেন, দুর্ঘটনা কমাতে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে সড়কের ওপর অধিক নির্ভরশীলতা কমানো প্রয়োজন। এজন্য নৌ ও রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্প্রসারিত ও আধুনিকায়ন করতে হবে।

Pin It