ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পিকআপ চালক কেরামত হাওলাদার হত্যা মামলায় সাতজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার সকালে পাঁচ আসামির উপস্থিতিতে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. সেলিম মিয়া এ রায় ঘোষণা করেন।
হত্যায় জড়িত থাকার বিষয়টি সন্দেহাতীতভাবে প্রামাণিত হওয়ায় রায়ে সাত আসামিকেই মৃত্যুদণ্ড এবং প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন– তোফা মোল্লা (২৬), পলাশ ফকির (৩২), সিদ্দিক খালাসি (৩৬), এরশাদ মাতুব্বর (৩২), সুরুজ ওরফে সিরাজুল খাঁ (২৭), নাইম মাতুব্বর (৩৫) ও আনু মোল্যা ওরফে আনোয়ার মোল্যা (২৮)। এদের সবার বাড়ি ভাঙ্গা উপজেলার চান্দ্রা গ্রামে। এদের মধ্যে নাইম মাতুব্বর ও সুরুজ ওরফে সিরাজুল পলাতক।
আদালতের ভারপ্রাপ্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) দুলাল চন্দ্র সরকার জানান, ২০১৪ সালের ১৪ ডিসেম্বর রাতে ভাঙ্গা উপজেলার উত্তর লোহারদিয়া গ্রামের পিকআপ চালক কেরামত হাওলাদার (৩৫) নিখোঁজ হন। পরদিন ভোরে পার্শ্ববর্তী ছলিলদিয়া দিঘলকান্দা বিলে কেরামতের গলা ও পেট কাটা মরদেহ পাওয়া যায়।
তিনি জানান, এ ঘটনায় ১৫ ডিসেম্বর নিহতের ভাই ইকরাম হাওলাদার বাদী হয়ে ভাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করে। পুলিশ মোবাইল ফোনের কল লিস্টের সূত্র ধরে তোফা মোল্লাকে আটক করলে সে ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অন্য আসামিদের পুলিশ গ্রেফতার করে। মামলার দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্য প্রমাণ উপস্থাপন শেষে আদালত বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণা করেন।