একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জাতীয় পার্টির সরকারের প্রতিমন্ত্রী রাজাকার সৈয়দ মুহম্মদ কায়সারের মৃত্যুদণ্ডের সাজা বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন।
এর আগে গত ৩ ডিসেম্বর আপিল আবেদনের ওপর উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করা হয়। সে অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের মঙ্গলবারের কার্যতালিকায় মামলাটি এক নম্বরে রাখা হয়।
২০১৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ হবিগঞ্জ মহাকুমার মুসলীম লীগ নেতা সৈয়দ মুহম্মদ কায়সারকে মৃত্যুদণ্ড দেন। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় হবিগঞ্জ ও ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় ১৫২ জনকে গণহত্যা, ২ নারীকে ধর্ষণ, অপহরণ, আটক, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগসহ মানবতাবিরোধী বিভিন্ন অপরাধে অংশগ্রহণ এবং প্রত্যক্ষ সহযোগিতার দায়ে এই সাজা দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ফাঁসির সাজা বাতিল চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেন কায়সার।
মুক্তিযুদ্ধের সময় দখলদার পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় ৫০০ থেকে ৭০০ ‘স্বাধীনতাবিরোধীকে’ নিয়ে নিজেই ‘কায়সার বাহিনী’ গঠন করেন এই মুসলিম লীগ নেতা। মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিকে তিনি লন্ডনে পালিয়ে যান। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হওয়ার পর দেশে ফেরেন এই রাজাকার কমান্ডার।