‘অর্থের কারণে বাংলাকে জাতিসংঘের দাফতরিক ভাষা করা বিলম্বিত হচ্ছে’

image-132204-1582295033

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে জাতিসংঘ উন্নয়ন সংস্থা (ইউএনডিপি) একটি বাংলা ফন্ট উদ্বোধন করেছে। শুক্রবার রাজধানীর একটি হোটেলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এই বাংলা ফন্ট উদ্বোধন করেন।

বাংলা বর্ণমালার যুক্তাক্ষর ও মাত্রাসহ অন্যান্য বিষয়কে বিবেচনায় নিয়ে এই ফন্ট তৈরি করা হয়েছে। ইউএনডিপির ওয়েবসাইট থেকে এই ফন্ট ডাউনলোড করা যাবে। এদিকে বাংলা ভাষার প্রতি সম্মান জানিয়ে সংস্থাটি তাদের গত বছরের (২০১৯) মানব উন্নয়ন রিপোর্টের সারসংক্ষেপ বাংলায় প্রকাশ করেছে। ইউএনডিপির ২০১৯ সালের মানব উন্নয়ন রিপোর্টের সারসংক্ষেপ বাংলায় রচনা করেছেন সম্প্রতি অবসরে যাওয়া ড. সেলিম জাহান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, অনেক দেশে জাতিসংঘের অর্থ অপচয় বা নষ্ট হয়, কিন্তু বাংলাদেশে এর পরিমাণ অত্যন্ত কম। এ কারণে ইউএনডিপি বাংলাদেশে একটি সফল উদাহরণ সৃষ্টি করেছে।

এদিকে ওই অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, অর্থের কারণে বাংলাকে জাতিসংঘের দাফতরিক ভাষা করার প্রক্রিয়া বিলম্বিত হচ্ছে। তিনি জানান, বাংলাকে জাতিসংঘের দাফতরিক ভাষা হিসেবে ব্যবহারের প্রচেষ্টা সরকারের রয়েছে। কিন্তু অর্থ খুবই বড় একটি বিষয়। বছরে প্রায় ৬০ কোটি ডলার লাগবে। এ কারণেই সমস্যা হচ্ছে, কিন্তু এক্ষেত্রে কারো কোনো আপত্তি নেই।

তিনি বলেন, জাতিসংঘের দাফতরিক ভাষার বেশিরভাগই যারা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জয়লাভ করেছিল তাদের। পরবর্তীতে শুধু যোগ হয়েছে আরবি ভাষা। ১৯ বছর ধরে আরব দেশগুলো টাকা দিয়ে এটি চালু রেখেছে। আগে অন্যান্য দেশ যেমন ভারত তার হিন্দি, জাপান তার জাপানিজ চেয়েছিল কিন্তু কোনটাই হয়নি। কেউ না করেনি, কিন্তু টাকাটা কে দেবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি।

Pin It