করোনা আক্রান্তদের জন্য কুয়েত-মৈত্রী হাসপাতাল: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

hospita-samakal-5e6614ab8851e

করোনাভাইরাস আক্রান্তদের চিকিৎসায় ঢাকার ‘কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতাল’কে বিশেষভাবে প্রস্তুত রাখার পাশাপাশি দেশের প্রতিটি হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইন (ভাইরাস সংক্রমণ হওয়া রোধে পৃথক করে রাখার বিশেষ ব্যবস্থা) ওয়ার্ড রাখা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

হাসপাতালগুলোর ‘টপ ফ্লোরে’ সেই ওয়ার্ডগুলো করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘রোগী বেশি হয়ে গেলে কমিউনিটি সেন্টারসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। প্রতিটি জেলার হাসপাতালে দুটি করে আইসিইউ (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) যাতে থাকে, সেই বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। কোনো রোগীর খোঁজ পেলেই কোয়ারেন্টাইনে রেখে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।’

বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস তীব্রভাবে ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষাপটে দেশের প্রস্তুতির সার্বিক দিক নিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। খবর ইউএনবির

করোনাভাইরাস নিয়ে সরকারের পূর্ণ প্রস্তুতি রয়েছে দাবি করে মন্ত্রী বলেন, ‘দেশের প্রতিটি বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরে আমাদের মেডিকেল টিম রয়েছে। বিভিন্ন দেশ থেকে যারাই আসছেন তাদের তদারকির আওতায় আনা হচ্ছে এবং পরীক্ষা করা হচ্ছে।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশি যারা বিদেশে চাকুরি করেন, তারা জরুরি প্রয়োজন ছাড়া দেশে আসবেন না বা যাবেন না। যাতায়াতটা সীমিত করতে হবে। করোনাভাইরাসের কারণে পৃথিবীতে অনেক অনুষ্ঠান বাদ দেয়া হয়েছে।’

করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা পদ্ধতি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, অন্য দেশ যেভাবে চিকিৎসা দিচ্ছে, আমরাও সেভাবে ব্যবস্থা নেব। তবে না ছড়ানোর ব্যাপারে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি।’

ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ছড়ানো রোধে সরকারের ব্যবস্থা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘যেহেতু একটি স্পেশাল হসপিটাল তৈরি রেখেছি। সে হসপিটাল থেকে চিকিৎসা দিলে ভাইরাসটি ছড়াবে না। সেখানে অন্য কোন বিষয়ের রোগী বা মানুষ যেতে পারবে না। ফলে ছড়ানোর আশঙ্কা কম।’

করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য চীন বাংলাদেশকে শুভেচ্ছা স্বরুপ ৫০০ কিটস দিয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদেরও ২ হাজার কিটস রয়েছে। সব মিলিয়ে আড়াই হাজার কিটস হলো। কিটসের কোনো অভাব হবে না।

আরও কিটস পাইপ লাইনে আছে এবং করোনা পরীক্ষার জন্য সরকারের কাছে ৮টি মেশিন রয়েছে বলেও জানান তিনি।

সংকট মোকাবেলায় চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, দেশের সকল ডিসি, এসপি, সিভিল সার্জনদের এলার্ট থাকতে বলা হয়েছে। আমরা এ বিষয়ে সার্বক্ষণিক তদারকি করছি।’

Pin It