গভীর রাতে ডিসি অফিসে মোবাইল কোর্ট বসিয়ে সাংবাদিককে কারাদণ্ড

image-137548-1584216715
ডিসির বিরুদ্ধে নিউজ করায় মাদকবিরোধী অভিযানের নামে এই সাজা :সাংবাদিকের স্ত্রী বাসা থেকে জোর করে তুলে নিয়ে মোবাইল কোর্ট সাজা দিতে পারে না :অ্যাটর্নি জেনারেল
 মধ্যরাতে চলল অভিযান। ঐ অভিযানে বসতঘরের দরজা ভেঙে প্রথমে মারধর, তারপর টেনে-হিঁচড়ে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া হলো এক সাংবাদিককে। এরপর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে রাত আড়াইটায় মোবাইল কোর্ট বসিয়ে দেওয়া হলো এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা। দণ্ডিত ঐ সাংবাদিক হলেন আরিফুল ইসলাম রিগ্যান। তিনি অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংল ট্রিবিউনের কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি।

শুক্রবার মধ্যরাতে মাদকবিরোধী অভিযানের নামে এ ঘটনা ঘটে। তবে ঐ অভিযানে আর কাউকে আটক করে দণ্ড দেওয়া হয়নি। জেলা প্রশাসন দাবি করেছে, ঐ সাংবাদিকের বাড়ি থেকে আধা বোতল (৪৫০ এমএল) দেশি মদ ও ১০০ গ্রাম গাঁজা পাওয়ায় এ দণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সাংবাদিক আরিফুল ইসলামের স্ত্রী মোস্তারিমা সরদার নিতুসহ পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন, জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীনের বিরুদ্ধে অনিয়মের সংবাদ পরিবেশন এবং ফেসবুকে দুর্নীতি সংক্রান্ত পোস্ট দেওয়ার কারণে উনি ক্ষুব্ধ হয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। এই অভিযোগ অস্বীকার করে ডিসি সুলতানা পারভীন বিবিসিকে বলেছেন, ‘যদি ঐ ঘটনাই হতো, সেটা তো এক বছর আগের কথা। ঐটা যদি কোনো বিষয় হতো, তাহলে তো তখনই আমরা কোনো অ্যাকশনে যেতাম।’ তিনি বলেন, টাস্কফোর্সের নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক দুলাল বোস বলেন, ‘আরিফুল মদ-গাঁজা তো দূরের কথা, কোনো দিন সে একটি সিগারেটও স্পর্শ করেনি।’

এদিকে গভীর রাতে সাংবাদিকের বাসায় টাস্কফোর্সের অভিযান ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে। দেশ জুড়ে আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয় ঘটনাটি। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। রংপুরের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) মো. মাসুদ রানার নেতৃত্বে এক সদস্যের কমিটি তদন্তকাজ শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে সাংবাদিক রিগ্যানের স্ত্রী, শ্বশুর মোহাম্মদ আলী, মামা নজরুল ইসলাম ও নূর ইসলাম নুরু, ম্যাজিস্ট্রেট রিন্টু বিকাশ চাকমাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছে।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেছেন, আরিফের ওপর যদি অন্যায় হয়ে থাকে, তবে অবশ্যই জেলা প্রশাসককে প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হবে। কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বিভাগীয় কমিশনারকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।

অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বাসা থেকে জোর করে তুলে নিয়ে মোবাইল কোর্ট সাজা দিতে পারে না। গাঁজা-মদ যদি ঘরে থেকেও থাকে, তবে তা নজরদারিতে রাখবে। এরপর যখন সময় হবে তখন তাকে মাদকসহ আটক করবে। আর এসব মাদকদ্রব্য যদি কেউ লুকিয়ে রাখে, তাহলে আমাদের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর তার নিজস্ব আইনবলে পদক্ষেপ নেবে।’

ঢাকা ল রিপোর্টসের সম্পাদক ও সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান বলেন, এটা আইন পরিপন্থি কাজ হয়েছে। মোবাইল কোর্ট আইনে কাউকে সরাসরি ধরে অন দ্য স্পটে (ঘটনাস্থল) সাজা দিতে হয়। যদি সেটা ঐ আইনের তপশিলভুক্ত অপরাধ হয়ে থাকে। তিনি বলেন, জেলা প্রশাসক তার ক্ষমতার পরিধির বাইরে গিয়ে কাজ করেছেন কি না এবং যদি করে থাকেন, তাহলে প্রশাসনিকভাবে এটার তদন্ত হওয়া দরকার। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে ঐ সাংবাদিক কারো বিরাগভাজন হয়েছেন, বিশেষ করে ঐ জেলা প্রশাসকের।

অভিযান কার

মাদকবিরোধী অভিযানের উদ্যোগ জেলা প্রশাসন না মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কুড়িগ্রাম জেলা কার্যালয় নিয়েছিল, তা নিয়ে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। মোবাইল কোর্ট এভাবে অভিযান চালাতে পারে কি না, জানতে চাওয়া হলে ডিসি সুলতানা পারভীন বিবিসিকে বলেন, ‘টাস্কফোর্সের টোটাল টিম বলতে পারবে, আসলে ব্যাপারটা কী? আমি তো ঘটনাস্থলে ছিলাম না। তবে আমার মনে হয় নিয়মিত মামলা হলে ভালো হতো।’

অভিযান পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিন্টু বিকাশ চাকমা জানান, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ, আনসার ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সমন্বয়ে টাস্কফোর্সের অভিযান পরিচালনা করা হয়। তবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কুড়িগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবু জাফর বলেছেন, তিনি এলাকায় ছিলেন না। শনিবার দুপুরে কার্যালয়ের পরিদর্শক জাহিদ তাকে জানিয়েছেন, রাতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের অভিযানের কথা বলে নিয়ে যাওয়া হয়।

তুই অনেক জ্বালাচ্ছিস’ বলেই মারধর শুরু করে

আরিফুলের স্ত্রী নিতু বলেন, ‘রাত সাড়ে ১২টার দিকে হঠাত্ করে আমাদের বাড়ির গেটে ধাক্কাধাক্কির শব্দ শুরু হয়। আমরা জানতে চাই কারা ধাক্কাচ্ছে। এ সময় বলা হয়, দরজা খুলুন, না হয় ভেঙে ফেলা হবে। পরে তারা দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে পড়ে। ঢুকেই মারতে শুরু করে আরিফকে। কেন মারছেন জিজ্ঞাসা করতেই তারা আরিফকে বলে, ‘তুই অনেক জ্বালাচ্ছিস।’ মারতে মারতে তাকে নিয়ে যায়।”

বিক্ষোভ ও মানববন্ধন

আরিফকে সাজা দেওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। গতকাল বিকেলে কুড়িগ্রাম শহরের শাপলা চত্বর এলাকায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে অংশ নেন সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। আরিফের মামা কুড়িগ্রাম পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, কারো প্ররোচনায় আরিফকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে কোনো সাক্ষ্য না নিয়ে অবৈধভাবে এই সাজা দেওয়া হয়েছে।

এদিকে এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)। বিএফইউজের সভাপতি মোল্লা জালাল, মহাসচিব শাবান মাহমুদ, ডিইউজের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু এক যৌথ বিবৃতিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন। নেতৃবৃন্দ বলেন, এসব ঘটনার মাধ্যমে রাষ্ট্র ও সরকারের সঙ্গে সাংবাদিক সমাজের দ্বন্দ্ব তৈরি করার অপচেষ্টা করছে সংশ্লিষ্ট মহলগুলো।

জেলা প্রশাসক মোছা. সুলতানা পারভীন একটি পুকুর সংস্কার করে নিজের নামে নামকরণ করতে চেয়েছিলেন। আরিফুল এ বিষয়ে নিউজ করার পর থেকেই তার ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন ডিসি। সম্প্রতি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নিয়োগ বিষয়ে ডিসির অনিয়ম নিয়েও প্রতিবেদন তৈরি করেন আরিফুল। এ সময় একাধিকবার তাকে ডিসি অফিসে ডেকে নিয়ে হুমকি দেওয়া হয়।

——————————————————————————————————————————————————————————

অধূমপায়ী সাংবাদিককে এক পোয়া মদ ১০০ গ্রাম গাঁজাসহ আটক, কুড়িগ্রামে ক্ষোভ

অধূমপায়ী সাংবাদিককে এক পোয়া মদ ১০০ গ্রাম গাঁজাসহ আটক, কুড়িগ্রামে ক্ষোভ

কুড়িগ্রামে বাংলা ট্রিবিউনের জেলা প্রতিনিধি আরিফুল ইসলাম রিগানকে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আটকের পর এক বছরের কারাদণ্ড দিয়ে জেলহাজতে পাঠিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযান পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিন্টু বিকাশ চামকার দাবি, তাকে ৪৫০ এমএল দেশি মদ ও ১০০ গ্রাম গাঁজাসহ আটক করা হয়েছে। এ দাবি অস্বীকার করে আরিফুলের স্ত্রী জানিয়েছেন, কোনো মাদক পাওয়া যায়নি। মধ্যরাতে জোর করে বাড়িতে ঢুকে তাকে পিটিয়ে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

গত শুক্রবার রাত ১২টার দিকে আরিফুলকে কুড়িগ্রাম শহরের চড়ুয়াপাড়াস্থ বাড়ি থেকে আটকের পর সাজা দিয়ে জেলহাজতে পাঠানো হয়।

এদিকে সাংবাদিক আরিফুল ইসলামকে মধ্যরাতে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে নির্যাতন এবং মদ ও গাঁজা দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে দাবি করে এলাকায় বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন এলাকার নানান শ্রেণি-পেশার মানুষ। শনিবার বিকেলে কুড়িগ্রামের শাপলা চত্বরে বিক্ষোভ ও মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনের সমাবেশে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ প্রত্যাহার করে মুক্তির দাবি জানিয়েছেন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।

সাংবাদিক আরিফুল ইসলামের স্ত্রী মোস্তারিমা সরদার মিতুসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা অভিযোগ করে বলেন, কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে অনিয়মের সংবাদ পরিবেশন ও ফেসবুকে দুর্নীতি সংক্রান্ত লেখা পোস্ট করার কারণে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।

সাংবাদিকের স্ত্রী মিতু আরও জানান, শুক্রবার রাত ১২টার দিকে খাওয়া শেষে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এ সময় হঠাৎ কে বা কারা দরজা ধাক্কাধাক্কি শুরু করলে আমার স্বামী ফোনে স্বজনদের বিষয়টি জানান। এক পর্যায়ে দরজা ভেঙে তারা আমার স্বামীকে মারধর শুরু করে। আমি বাধা দিতে গেলে তারা আমাকেও মারতে উদ্যত হয়। পরে আমার স্বামীকে তুলে নিয়ে যায়। কি অভিযোগে তাকে আটক করা হয়েছে তখন তারা জানান নি। পরে জানতে পারি তার বিরুদ্ধে মাদকের অভিযোগে এক বছরের জেল দেওয়া হয়েছে। আমার স্বামী কোনো অন্যায় করেনি, আমি ন্যায় বিচার চাই।

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক দুলাল বোস জানান, আমার জানা মতে সাংবাদিক আরিফুল মদ-গাঁজা তো দুরের কথা কোনো দিন সে একটি সিগারেটও স্পর্শ করেনি। বরং যারা ধূমপান করে তাদের বিভিন্ন সময় তিরস্কার করেছে।

কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান বিপ্লব জানান, আমরা কুড়িগ্রামের সাংবাদিকরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমাদের একদফা দাবি তাকে দ্রুত মুক্তি দেওয়া হোক।

কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যাড. আহসান হাবীব নীলু জানান, তাকে আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই মুক্ত করার পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

মানব বন্ধনে বক্তব্য রাখেন- কুড়িগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান বিপ্লব, দৈনিক কুড়িগ্রাম খবরের সম্পাদক এসএম ছানালাল বকসী, স্থানীয় পত্রিকা দৈনিক জাগোবাহের সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা, সাংবাদিক শ্যামল ভৌমিক, সাংবাদিক রাজু মোস্তাফিজ, হুমায়ুন কবির সুর্য, হাসিবুর রহমান হাসিব, ইউসুফ আলমগীর, এসএম আশরাফুল হক রুবেল, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদ দুলাল বোস, আরিফুলের প্রতিবেশি আব্দুস ছাত্তার লিটনসহ সাংবাদিকরা।

জেল জরিমানার ঘটনা আইন সংগত কি না জানতে তদন্ত শুরু

এদিকে সাংবাদিককে তুলে এনে ভ্রাম্যমাণ আদালতে কারাদণ্ড ও জরিমানার ঘটনাটি আইনসংগত হয়েছে কিনা এ নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। শনিবার বিকেলে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে রংপুর বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার (রাজস্ব) মো মাসুদ রানার নেতৃত্বে এক সদস্যের তদন্ত কমিটি তদন্ত শুরু করেছে।

প্রাথমিকভাবে সাংবাদিক রিগ্যানের স্ত্রী, শ্বশুর মোহাম্মদ আলী, মামা নজরুল ইসলাম ও নুর ইসলাম নুরু, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিন্টু বিকাশ চাকমাসহ সংশ্লিষ্টদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।

কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন বলেন, টাস্কফোর্সের নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে এবং ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিধিবিধান অনুসরণ করে সাজা দেওয়া হয়েছে।

Pin It