বিদেশফেরতদের তালিকা করে প্রশাসনকে দিতে আওয়ামী লীগের নির্দেশ

obaidul k-bd20200322231055

ইউনিয়ন, ওয়ার্ড, গ্রাম ও শহর পর্যায়ে বিদেশফেরত ব্যক্তিবর্গের তালিকা করে স্থানীয় পর্যায়ের প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগকে জানাতে দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছে আওয়ামী লীগ।

রোববার (২২ মার্চ) আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এক বিবৃতিতে এ নির্দেশ দেন ৷

বিবৃতিতে তিনি বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাস সংকট মোকাবিলায় আওয়ামী লীগ ও সকল সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি ও সতর্কতা মেনে চলে দেশব্যাপী গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে উপযোগী কার্যক্রম পরিচালনার আহ্বান জানিয়েছেন। এ লক্ষ্যে তিনি বিভিন্ন সাংগঠনিক নির্দেশনা প্রদান করেছেন।

নির্দেশনাসমূহ হলো-

১. বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সকল নেতা-কর্মীগণ ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি ও সতর্কতা মেনে চলে সারাদেশের জনগণের মধ্যে বিজ্ঞানসম্মতভাবে করোনা ভাইরাস সম্পর্কে গণসচেতনতা সৃষ্টি করবেন। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সঠিক তথ্য প্রদান করে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য জনগণকে উদ্বুদ্ধ করবেন এবং জনসমাগম হতে পারে- এমন কর্মসূচি পরিহার করবেন। সঠিক তথ্য প্রদানের মাধ্যমে মানুষের মনে সৃষ্ট আতঙ্ক দূর করবেন এবং গণমাধ্যমে প্রচারিত সরকারি নির্দেশনা মেনে চলার জন্য জনগণকে উৎসাহিত করবেন।

২. ইউনিয়ন, ওয়ার্ড, গ্রাম ও শহর পর্যায়ে সাম্প্রতিক সময়ে বিদেশ ফেরত ব্যক্তিবর্গের তালিকা প্রস্তুত করে ওই সকল ব্যক্তিদের তথ্য স্থানীয় পর্যায়ের প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগকে অবহিত করবেন এবং স্বাস্থ্য বিভাগের কার্যক্রমে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করবেন। প্রয়োজনে সরকার ঘোষিত হটলাইনে যোগাযোগ রক্ষা করবেন।

৩. করোনা ভাইরাস সংকট নিয়ে সকল ধরনের গুজব, মিথ্যা তথ্য, অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে এবং এই সকল অপকর্ম প্রতিরোধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। একই সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের সম্পর্কে প্রশাসনকে অবহিত করতে হবে।

৪. বাংলাদেশে কোন প্রকার খাদ্য সংকট নেই। বাজারে গুজব সৃষ্টি করে প্রয়োজনীয় ঔষধ ও চিকিৎসা সামগ্রী এবং নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির অপতৎপরতা ও মজুদদারীর বিরুদ্ধে সতর্ক অবস্থান গ্রহণ করবেন। এ বিষয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে প্রশাসনকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করবেন।

৫. জনপ্রতিনিধিগণ করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণমূলক কর্মকাণ্ডে স্থানীয় প্রশাসনকে সহযোগিতা করবেন এবং নিজ নিজ এলাকার জনগণকে সচেতন করবেন।

৬. কোন ব্যক্তির মধ্যে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কোন প্রকার উপসর্গ দেখা দিলে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগকে অবহিত করে তাদের যথাযথ চিকিৎসাসেবা প্রদানে সহযোগিতা করবেন।

৭. মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য তথা দেশের প্রতিটি নাগরিকের ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও জীবনের নিরাপত্তা রক্ষায় বদ্ধপরিকর। তিনি বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাস সংকট মোকাবিলার জন্য সকল ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করে নিবিড়ভাবে কাজ করে চলেছেন। দেশবাসির সম্মিলিত সচেতনতা, সতর্কতা ও স্বাস্থ্যবিধি পালনই পারে ভয়াবহ এই সংকট থেকে আমাদের রক্ষা করতে। বাংলাদেশ তথা বিশ্ববাসির এই ক্রান্তিলগ্নে সকলকে ধৈর্য্য,  সতর্কতা, দায়িত্বশীলতা, মানবিকতা ও দেশপ্রেমের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে। পরম করুণাময় আমাদের সহায় হোন।

Pin It