করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সাধারণ ছুটি আর না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্তকবার্তার প্রতি সরকারের ‘বৃদ্ধাঙ্গুলি’ প্রদর্শন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ ব্রিফিঙে তিনি বলেন, “ছুটির নামে তথাকথিত লকডাউন তুলে নেয়ার পদক্ষেপের মাধ্যমে সরকার কি প্রমাণ করতে চায়- করোনার থেকে তারা শক্তিশালী? এই ছুটি প্রত্যাহারের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ মানুষকে আক্রান্তের দিকে ঠেলে দেওয়া হলো। এটা সরকারের সবচাইতে বড় আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত।
“মানুষকে বিপদে ফেলে দেয়ার এই সিদ্ধান্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্তকতাবার্তার প্রতিও সরকারের বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন। আমরা দৃঢ়তার সাথে বলতে চাই, এই ছুটি প্রত্যাহারের জন্য করোনাভাইরাসে প্রাণহানির সকল দায় সরকারকেই নিতে হবে।”
বৈশ্বিক মহামারী রূপ নেওয়া ছোঁয়াচে রোগ কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ আটকাতে গত ২৬ মার্চ থেকে বন্ধ দেশের অফিস-আদালত, গণপরিবহন।
এমন অবস্থায় যখন সংক্রমিত রোগী বাড়ছে তখনই সরকার ছুটি আর না বাড়িয়ে ৩১ মে থেকে সীমিত পরিসরে অফিস খোলা ও গণপরিবহন চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
রিজভী বলেন, “এখনই উপযুক্ত সময়ই ছিল কিছুদিনের জন্য হার্ড লকডাউন কার্য্কর করে ব্যাপক জনগণকে টেস্টের আওতায় এনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা। কিন্তু সরকার সেই পথে না গিয়ে হাঁটছে মৃত্যুর মিছিল বাড়ানোর পথে।
“পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অধিক সংখ্যক টেস্ট এবং কঠোর লকডাউনের মাধ্যমে আক্রান্ত ও মৃত্যু নিয়ন্ত্রণে আনার পর লকডাউন শিথিল করেছে, আর বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর ভীতিকর মাত্রায় প্রতিটি মানুষ যখন আতংকিত-উৎকণ্ঠিত তখন ছুটির নামে তথাকথিত লকডাউন প্রত্যাহার করা হল।”
মহামারী মোকাবেলায় সরকারের ‘অপরিকল্পিত, দায়সারা ও দায়িত্বজ্ঞানহীন’ কর্মকাণ্ডের কঠোর সমালোচনা করেন তিনি।
বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দমনপীড়নের প্রসঙ্গ টেনে রিজভী বলেন, “গত এক দশকে প্রতিটি ঘটনায় বিরোধী দল ও মতের মানুষের বিরুদ্ধে র্যাব-পুলিশ লেলিয়ে দিয়ে ক্ষমতাসীনরা পরিস্থিতির উপর জবরদস্তিমূলক নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিল। এবারও মনে হয় তারা (র্যাব-পুলিশ) একই কায়দায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার পরিকল্পনা করে যাচ্ছে।”
নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভার্চুয়াল এই সংবাদ ব্রিফিং হয়।