করোনা মোকাবিলায় সরকারের মন্ত্রী-শীর্ষ কর্মকর্তাদের বৈঠক

12320200607001906

দেশের বর্তমান করোনা মহামারীর সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেকের সভাপতিত্বে অনলাইনে এক ভিডিও কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার অনুষ্ঠিত এই ভিডিও কনফারেন্সে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক অংশ নেন।

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এবং পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ অংশ নেন বলে স্থানীয় সরকার বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।

এসময়, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক করোনার বিস্তার নিয়ন্ত্রণে করণীয় বিভিন্ন দিক নিয়ে একটি প্রেজেন্টেশন  উপস্থাপন করেন।

ডিজিটাল ম্যাপিং নিয়ে দেশেকে জোন ভিত্তিক ভাগ করে কঠোর লকডাউন করা হবে বলে জানানো হয়। অার রোববার থেকে তা কার্যকর করা হবো বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

করোনা প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য দেশের মানুষকে সাথে নিয়ে একযোগে কাজ করার ওপর অালোচনা হয়।

দেশে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সকল মন্ত্রণালয়, স্বায়ত্ত্বশাসিত এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সমন্বিত প্রচেষ্টার কোনো বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন,  স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ঢাকা দুই সিটি করপোরেশনের অধীনস্থ সকল ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের নিয়ে ১০ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন এবং উক্ত কমিটি ওই ওয়ার্ডকে ১০ ভাগে বিভক্ত করে সিটি কর্পোরেশনের প্রতিনিধি, বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং এনজিও প্রতিনিধির সমন্বয়ে আরও ১০টি উপ-কমিটি গঠন করা সংক্রান্ত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

তাজুল ইসলাম আশা প্রকাশ করে বলেন, এসব কমিটি গঠিত হলে করোনা মোকাবিলা, নিম্নবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত বা অসহায় মানুষের সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতাসহ  নানা সামাজিক কর্মকাণ্ড আরও নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হবে।

তিনি বলেন, দেশে প্রথম করোনা শনাক্ত হওয়ার পর থেকে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে জেলা-উপজেলার স্থানীয় প্রতিনিধিদের তৃণমূল পর্যায়ে সতর্ক অবস্থান নেওয়ার পরামর্শ দেয় স্থানীয় সরকার বিভাগ।

মন্ত্রী বলেন, দেশে লকডাউন ঘোষণার পর থেকে গরীব, দুঃস্থ-অসহায় এবং ছিন্নমূল মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিতে সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বিশিষ্ট ব্যক্তি ও এনজিওকে সঙ্গে নিয়ে একযোগে কাজ করে আসছে সরকার।

ত্রাণ কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে গিয়ে যারা অনিয়মে যুক্ত হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে তার মন্ত্রণালয়ের কঠোর অবস্থান নেওয়ার কথাও জানান স্থানীয় সরকার মন্ত্রী।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সব ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছ উল্লেখ করে তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকার কথা মাথায় রেখেই এ ভাইরাস প্রতিরোধের কৌশল নেওয়া উচিত।

Pin It