আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, করোনাভাইরাস সঙ্কটের মধ্যে বিএনপি নেতারা জনগণের পাশে না দাঁড়িয়ে গণমাধ্যমকে ঢাল হিসেবে ব্যবহারের চেষ্টা করছে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এক বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে তিনি একথা বলেন।
ফখরুল সোমবার বলেছিলেন, আওয়ামী লীগের শাসনামলে গণমাধ্যম সত্য প্রকাশ করতেও ভয় পায়।
কাদের বলেন, “গণমাধ্যম হল চলমান সমাজের দর্পণ। তারা সত্য প্রচারে নির্ভিক, বরং বিএনপির সৃষ্ট গুজব প্রচারে অনীহ।”
তিনি বলেন, “সংকটময় এই সময়ে জনগণের পাশে না দাঁড়ানো বিএনপির মিডিয়াবাজির রাজনীতিতেও ভাটা পড়ায় তারা গণমাধ্যমকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
“কর্মভীরু মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীররা নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে বাক্যালাপে বীরত্ব প্রদর্শন করছেন।”
বাকশালের সমালোচনার জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “বাকশাল ছিল গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার অভিযাত্রা এবং বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান নিজেই বাকশালের কার্যকরী সদস্য ছিলেন। বাকশাল কোনো একদলীয় ব্যবস্থা ছিল না। এটি ছিল সকল মত-শ্রেণী-পেশার সমন্বয়ে একটি জাতীয় দল।”
বাকশাল প্রতিষ্ঠার পর সংবাদপত্র বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, “মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মন্তব্য করেছেন, বাকশাল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ৪টি পত্রিকা ব্যতীত সকল সংবাদপত্র বন্ধ করে দেওয়া হয়। তার জ্ঞাতার্থে জানাতে চাই, তৎকালীন বঙ্গবন্ধু সরকারের সময় দৈনিক, সাপ্তাহিক ও অন্যান্য মিলে ১২৬টির মতো সংবাদপত্র প্রকাশিত হত।
“জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংবাদপত্রের জগতে বস্তুনিষ্ঠতা ও দায়বদ্ধতা প্রতিষ্ঠার জন্য সাংবাদিকদের মাধ্যমে গঠিত কমিটির সুপারিশে একটি কাঠামো দাঁড় করিয়েছিলেন মাত্র।”
দেশে এখন গণতন্ত্র নেই বলে বিএনপির সমালোচনার জবাবে কাদের বলেন, “যদি গণতন্ত্র না-ই থাকে তাহলে বিএনপির নেতৃবৃন্দ কীভাবে সরকারের বিরুদ্ধে এত মিথ্যাচার করার সুযোগ পান?”
তিনি বলেন, “বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের বহুদলীয় গণতন্ত্রের নামে হ্যাঁ-না ভোটের মাধ্যমে ৯৯ শতাংশ ভোট ডাকাতির কথা দেশবাসী জানে। সামরিক শাসনতন্ত্রের মোড়কে ১৯৭৯ সালের গণতান্ত্রিক নির্বাচনও দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেছিল। সুতরাং বিএনপির মুখে আর যা-ই হোক, গণতন্ত্রের কথা শোভা পায় না।
“১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পরে অবরুদ্ধ গণতন্ত্রকে শৃঙ্খলমুক্ত করে সত্যিকারের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সফল নেতৃত্ব দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা।”