স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্তের হার এভাবে বাড়তে থাকলে আরও দুই হাজার নতুন চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হবে। পাশাপাশি মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নিয়োগের কাজও বর্তমানে চলমান রয়েছে। করোনা পরিস্থিতি আগামীতে যেরকম হবে সরকার সেভাবেই বুঝেশুনে পদক্ষেপ নেবে।
সোমবার সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে চীনা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দলকে বিদায় জানাতে গিয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চীন করোনাভাইরাসে ভ্যাক্সিন নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। তাদের কাজে অগ্রগতিও বেশ। এই ভ্যাক্সিন আবিষ্কার হলে অগ্রাধিকারভিত্তিতে আগে বাংলাদেশে পাঠাবে বলে চীন সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। চীনে করোনা সংক্রমণকালে বাংলাদেশ যেভাবে তাদের পাশে ছিল চীন সরকার সেভাবেই বাংলাদেশের জন্য সবার আগে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেবে।’
চীনা বিশেষজ্ঞ দলের বাংলাদেশ সফর নিয়ে তিনি বলেন, ‘কোভিড প্রতিরোধে বাংলাদেশের কাজে চীনা দল সন্তুষ্ট হয়েছে। তবে কোভিড মোকাবিলায় আরও কিছু জায়গায় উন্নতি করার সুযোগ রয়েছে বলেও তারা সরকারকে জানিয়েছেন। আমরাও সামনের দিনগুলোতে চিহ্নিত জায়গাগুলো নিয়ে আরও কাজ করবো।’
কিট প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চাহিদা অনুযায়ী কিট পাওয়া যাচ্ছে না। কারণ বর্তমানে বিশ্বের সব দেশেই কিটের চাহিদা রয়েছে। তবে যা মজুদ আছে তাতে ঘাটতি হওয়ার কথা নয়। কোনো কারণে সংকট তৈরি হলেও তা খুব দ্রুতই মেটানোর ব্যবস্থা সরকার নিয়ে রেখেছে। কাজেই কিট নিয়ে এই মুহূর্তে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিদিন যে হারে করোনা রোগী বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে মানুষ আরও সচেতন না হলে সব হাসপাতাল করোনা রোগীতে পূর্ণ হয়ে যাবে। এ কারণে করোনা মোকাবিলায় দেশের মানুষকে আরও বেশি সচেতন হতে হবে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যখাতে বাজেট আরও বাড়ানো প্রয়োজন।’
অনুষ্ঠানে চায়না রাষ্ট্রদূত ঝ্যাং জুয়ো ভ্যাকসিন আবিষ্কার হলে তা সবার আগে বাংলাদেশ পাবে বলে নিশ্চিত করে বক্তব্য রাখেন। ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদও বক্তব্য রাখেন। এ সময় চীনা বিশেষজ্ঞ দলসহ স্বাস্থ্যখাতের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।