শিশু কল্যাণে উদ্ভাবন, দক্ষতা ও ফলপ্রসূ কর্মসূচিতে গুরুত্বারোপ রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমার

image-163699-1593864732

শিশুদের কল্যাণ নিশ্চিতে সরকারসমূহকে সহযোগিতা করতে উদ্ভাবন, দক্ষতা ও ফলপ্রসূ কর্মসূচির প্রয়োজনীয়তার উপর ইউনিসেফের নির্বাহী বোর্ডের বার্ষিক অধিবেশনের সমাপনী গুরুত্বারোপ করলেন ইউনিসেফ নির্বাহী বোর্ডের সভাপতি এবং জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। তিনি বলেন, ন্যায়সঙ্গত, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও পরিবেশ বান্ধব সমাজ বিনির্মাণে সদস্য দেশের সরকারসমূহকে সহায়তা করতে অবশ্যই ইউনিসেফকে তার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে আর এই প্রচেষ্টাসমূহে উদ্ভাবন, দক্ষতা ও অর্থের মূল্যকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে।

বৃহস্পতিবার (০২ জুলাই) ইউনিসেফ নির্বাহী বোর্ডের চার দিন ব্যাপী বার্ষিক অধিবেশনের শেষ দিনে বোর্ড সভাপতি হিসেবে সমাপনী বক্তব্য প্রদান করেন রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। বিশ্বব্যাপী ইউনিসেফের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো এগিয়ে নিতে কৌশলগত দিক-নির্দেশনা ও সহযোগিতামূলক ছয়টি সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতিক্রমে এ সভায় গৃহীত হয়।

কোভিড-১৯ মহামারিকালে শিশুদের সাধারণ টিকাদান কর্মসূচি অব্যাহত রাখা, নিরাপদ ভাবে স্কুলসমূহ পুনরায় চালু করা, শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল সুযোগ-সুবিধা ও সংযোগ নিশ্চিত করা, নিরাপদ পানি ও পয়:নিষ্কাশন নিশ্চিত করা, উন্নত মানসিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদান এবং শিশুদের মনো-সামাজিক উন্নয়নের জন্য কর্মসূচি তৈরি করা এ সময়ে ইউনিসেফের অগ্রাধিকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী শিশুদের রক্ষার যে ম্যান্ডেট ইউনিসেফের রয়েছে তা বাস্তবায়নে প্রতিষ্ঠানটিকে অব্যাহত ভাবে আর্থিক সহায়তা দিতে হবে, এটি অত্যন্ত প্রয়োজন।

এসডিজি বাস্তবায়ন প্রচেষ্টায় সদস্য দেশগুলোকে সহায়তা করার গুরুত্ব উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। তিনি বলেন, সঙ্কট প্রবণ দেশগুলোতে নারী, বালিকা ও বালকদের লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতা রোধে সেবা ও সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে ইউনিসেফ গৃহীত প্রচেষ্টাসমূহের প্রশংসা করেন তিনি। এছাড়া মানবিক ও উন্নয়ন কর্মসূচিসমূহের সমন্বয় সাধনের জন্য ইউনিসেফের দীর্ঘমেয়াদি তহবিলের প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরেন বোর্ড সভাপতি রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।

কোভিড -১৯ জনিত কারণে শিশু এবং তাদের পরিবারগুলো বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে মর্মে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। এক্ষেত্রে সামাজিক সুরক্ষা বেষ্টনী শক্তিশালী ও প্রসারিত করার লক্ষ্যে সরকারসমূহের প্রচেষ্টায় ইউনিসেফ যে সহযোগিতা করে যাচ্ছে তার প্রশংসা করেন তিনি। পরামর্শমূলক প্রক্রিয়া ও কার্যকর সমন্বয়ের মাধ্যমে জাতীয় সরকারগুলোর কাজে আরও পরিপূরক ভূমিকা রাখতে ও সহায়তায় এগিয়ে আসতে ইউনিসেফকে আহ্বান জানান বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি।

সমাপনী অধিবেশনে অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন, ইউনিসেফ গ্লোবাল স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান নোমা ওয়েন্স-ইবি এবং ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক মিজ্ হেনরিটা এইচ ফোর। ইভেন্টটিতে ইউনিসেফ স্টাফ টিম অ্যাওয়ার্ডস-২০১৯ বিজয়ী পাঁচটি দলের কর্মকাণ্ড তুলে ধরে একটি ভিডিও প্রদর্শিত হয়। ইউনিসেফের কর্মী বাহিনীকে সংগঠনটির মেরুদণ্ড হিসাবে উল্লেখ করে মিজ্ ফোর বলেন, বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ সংকট মোকাবিলায় বিভিন্ন সম্প্রদায়, শিশু ও যুবদের সহযোগিতা প্রদানের ক্ষেত্রে ইউনিসেফসহ জাতিসংঘের বিভিন্ন এজেন্সীর মধ্যে কার্যকর আন্তঃসম্পর্কীয় সহযোগিতা ও সমন্বয়ের কোনো বিকল্প নেই।

Pin It