নতুন করোনাভাইরাসে দেশে আরও ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে; এ নিয়ে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬১৮ জনে।
একদিনে আরও ২ হাজার ৪৫৯ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ায় দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ২ লাখ ৪ হাজার ৫২৫ জন হয়েছে।
আইইডিসিআরের ‘অনুমিত’ হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১ হাজার ৫৪৬ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত ২৪ ঘণ্টায়। তাতে সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল মোট ১ লাখ ১১ হাজার ৬৪২ জনে।
কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোববারের বুলেটিনে অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা এই তথ্য জানান।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ৮ মার্চ, তা দুই লাখ পেরিয়ে যায় শনিবার। এর মধ্যে ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ।
আর ১৮ মার্চ বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে প্রথম মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ১৭ জুলাই তা আড়াই হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনে রেকর্ড ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়।
নাসিমা সুলতানা বলেন, গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ২৯ জন পুরুষ এবং ৮ জন নারী। ৩২ জন হাসপাতালে এবং ৫ জন বাড়িতে মারা গেছেন।
তাদের মধ্যে একজনের বয়স ছিল ৯০ বছরের বেশি। এছাড়া ১ জনের বয়স ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে, ৪ জনের বয়স ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে, ২০ জনের বয়স ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে, ৬ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৩ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ১ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ছিল।
এই ৩৭ জনের মধ্যে ১৫ জন ঢাকা বিভাগের, ৮ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৭ জন খুলনা বিভাগের, ৩ জন রাজশাহী বিভাগের, ১ জন ময়মনসিংহ বিভাগের, ১ জন রংপুর বিভাগের এবং ২ জন সিলেট বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
বুলেটিনে জানানো হয়, দেশের ৮০টি পরীক্ষাগারে গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ হাজার ৬২৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। দেশে এ পর্যন্ত মোট ১০ লাখ ২৮ হাজার ২৯৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ১৪ শতাংশ। আর শনাক্ত রোগীর সংখ্যার বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫৪ দশমিক ৫৯ শতাংশ, মৃতের হার ১ দশমিক ২৮ শতাংশ।