করোনা ভাইরাস মহামারি সংকটের মধ্যেও বিদেশি বিনিয়োগ আনতে এই পরিস্থিতিতে প্রতিবদ্ধকতার সঙ্গে যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে সেগুলোকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) গভর্নিং বোর্ডের সভায় এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
গণভবন প্রান্ত থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের গভর্নিং বোর্ডের সভায় অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী।
করোনা সংকটের মধ্যেও সম্ভবনার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, করোনা ভাইরাসে একটা ধাক্কা এসেছে এটা টিক। আবার সুযোগও সৃষ্টি হয়েছে। সেটা আমাদের মাথায় রাখতে হবে। কাজেই কারা বিনিয়োগ করতে চায় সেদিকে লক্ষ্য রেখে সেই বিনিয়োগ যাতে আমাদের দেশে আসে সে ব্যবস্থা নিতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদেরকে আরও বেশি ইনভেস্টমেন্টটা আনতে হবে, এটা সুযোগ আছে। অনেক দেশে এখন ইন্ডাস্ট্রি বন্ধ। আমাদের জনসংখ্যা আছে, জমি তৈরি আছে, অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা আছে। এই সুযোগটায় আমরা কিন্তু ইনভেস্টমেন্ট আরও বেশি আকর্ষণীয় করতে পারি এবং আনতে পারি; আমাদের সেই সুযোগটা রয়েছে। সেই সুযোগটা আমাদের কাজে লাগাতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আজকে বিনিয়োগের পরিবেশ আমাদের রয়েছে করোনা ভাইরাসের কারণে সবদেশেই সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু এই সমস্যার মধ্যে দিয়েই কিভাবে আমাদের দেশের অর্থনীতি এগিয়ে নিয়ে যাবো সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমাদের কাজ করতে হবে।
করোনা পরিস্থিতিতে ব্যবসা-বিনিয়োগের সমস্যার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের বসে থাকলে চলবে না। সীমিতভাবে হলেও আমাদের কাজ করতে হবে।
বাংলাদেশে বিনিয়োগে সুবিধা ও সম্ভবনার কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিডার গভর্নিং বোর্ডের সভায় গণভবন প্রান্তের অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব ইহসানুল করিম।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় প্রান্তে বিডার গভর্নিং বোর্ডের সদস্যদের মধ্যে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর ফজলে কবির, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন এবং সুরক্ষা ও সেবা বিভাগের সচিব মো. শহিদুজ্জামান, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম, বাংলাদেশ উমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্ট বেগম সেলিমা আহমাদ।