সবার প্রচেষ্টায় আমাদের ইজ অব ডুয়িং বিজনেস সূচকের মান ১৭৬ থেকে ১৬৮-তে উন্নীত হয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে ব্যবসা সহজীকরণ বা ‘ইজ অব ডুয়িং বিজনেস’ সূচক ডাবল ডিজিটে উন্নীত করতে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) অংশীজনদের সঙ্গে সমন্বয় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
তবে যেখানে সেখানে ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তোলা যাবে না।
বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) বিডা আয়োজিত ‘ইজ অব ডুয়িং বিজনেস’ সংক্রান্ত জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটির ভার্চ্যুয়াল সভায় কমিটির সভাপতি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল একথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। ইজ অব ডুয়িং বিজনেস সূচকের মান উন্নীত করতে পারলে আমাদের সময় বাঁচবে, সময় বাঁচলে আমাদের অহেতুক যে অনেক খরচ বেড়ে যায় সেটিও বাঁচবে। সময় ও খরচ দু’টিই বাঁচার মাধ্যমে ব্যবসার পরিবেশও অনেক উন্নত হবে।
সভায় যেখানে সেখানে ইন্ড্রাস্ট্রি গড়ে না তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এতে আলাদা আলাদা ইন্ড্রাস্ট্রির জন্য আলাদা আলাদা অঞ্চল বরাদ্দ করা হবে।
‘ইজ অব ডুয়িং বিজনেস’ এর জন্য বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ব্যবসা শুরু, নির্মাণ অনুমোদন, বিদ্যুৎপ্রাপ্তি, সম্পত্তি নিবন্ধন, ঋণপ্রাপ্তি, ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীর স্বার্থরক্ষা, কর পরিশোধ, সীমান্ত বাণিজ্য, চুক্তি কার্যকর ও দেউলিয়াত্ব মীমাংসা।
বিশ্বব্যাংকের সংজ্ঞা অনুযায়ী, ব্যবসা শুরুর সূচকটি পরিমাপ করা হয় ব্যবসার বাণিজ্যিক বিরোধ মেটাতে প্রয়োজনীয় সময় ও ব্যয় এবং এ সংক্রান্ত আইনি পদ্ধতির গুণগত মানের ওপর ভিত্তি করে। এর প্রতিটি ক্ষেত্রেই বাংলাদেশকে অগ্রসর হতে হবে। ১০টি সূচকের মধ্যে যে সব কাজ আগে করলে বেশি মার্কস পাওয়া যাবে সে বিষয়গুলো আগে গুরুত্ব দিয়ে আগে সম্পাদন করতে হবে। সভায় এ বিষয়ে আলোচনা হয়।
সভায় আরো সংযুক্ত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, জনপ্রসাশন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।