দেশে করোনাভাইরাসে এক দিনে আরও ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা গত প্রায় এক মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন; সংক্রমণ ধরা পড়েছে আরও ১ হাজার ৯২৯ জনের মধ্যে।
শুক্রবার বিকালে সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য জানানো হয়।
সেখানে বলা হয়, সকাল ৮টা পর্যন্ত শনাক্ত ১ হাজার ৯২৯ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ২১ হাজার ৬১৫ জন হল।
আর গত এক দিনে মারা যাওয়া ২৯ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট মৃতের সংখ্যা ৪ হাজার ৪১২ জনে দাঁড়াল।
এর আগে ৭ অগাস্ট এ ভাইরাসে ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এরপর প্রতিদিনই মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৩০ এর বেশি।
আইইডিসিআরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ২ হাজার ২১১ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ২ লাখ ১৬ হাজার ১৯১ জন হয়েছে।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে ৮ মার্চ, ২৬ অগাস্ট তা তিন লাখ পেরিয়ে যায়। এর মধ্যে ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২৫ অগাস্ট সেই সংখ্যা চার হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে সনাক্তের দিক থেকে ১৫তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ২৯তম অবস্থনে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৯৩টি ল্যাবে ১৩ হাজার ৭৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ১৬ লাখ ৫ হাজার ১১১টি নমুনা।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ২০ দশমিক ০৪ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৬৭ দশমিক ২২ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
গত এক দিনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ২২ জন, নারী ৭ জন। তাদের মধ্যে ২৭ জন হাসপাতালে এবং ২ জন বাড়িতে মারা গেছেন।
তাদের মধ্যে ১৫ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। ৭ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৩ জন করে মোট ৬ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ এবং ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে এবং ১ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ছিল।
১৪ জন ঢাকা বিভাগের, ৪ জন রাজশাহী বিভাগের, ৩ জন বরিশাল বিভাগের এবং ২ জন করে মোট ৮ জন চট্টগ্রাম, খুলনা, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৪ হাজার ৪১২ জনের মধ্যে ৩ হাজার ৪৫৪ জনই পুরুষ এবং ৯৫৮ জন নারী।
তাদের মধ্যে ২ হাজার ১৯১ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ১ হাজার ২০৮ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৫৮৫ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ২৬৭ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১০৫ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৩৭ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ১৯ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম।
এর মধ্যে ২ হাজার ১৩৪ জন ঢাকা বিভাগের, ৯৫২ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ২৯৫ জন রাজশাহী বিভাগের, ৩৬৫ জন খুলনা বিভাগের, ১৭২ জন বরিশাল বিভাগের, ১৯৭ জন সিলেট বিভাগের, ২০২ জন রংপুর বিভাগের এবং ৯৫ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।