আইসিডিডিআরবির নির্বাহী পরিচালক পদে প্রথম বাংলাদেশি

1601486544.Untitled-1

আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্রের (আইসিডিডিআরবি) ৬০ বছরের গৌরবময় ইতিহাসে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে নির্বাহী পরিচালক পদে নিয়োগ পেয়েছেন ডা. তাহমিদ আহমেদ।

আইসিসিডিআরবি’র আন্তর্জাতিক বোর্ড অফ ট্রাস্টিজ ড. তাহমিদ আহমেদকে পরবর্তী নির্বাহী পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন।

তিনি ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি নির্বাহী পরিচালক পদে যোগ দেবেন। এর আগে এ পদে প্রফেসর ক্লেমেন্সে ২০১৩ সাল থেকে দায়িত্ব পালন করছেন।

বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় আইসিসিডিআরবি’র মিডিয়া ম্যানেজার এ কে এম তারিফুল ইসলাম খান এক প্রেস বিজ্ঞতিতে এ তথ্য জানান।

এ বিষয়ে ড. আহমেদ বলেন, আইসিডিডিআরবি’র প্রথম বাংলাদেশি নির্বাহী পরিচালক হওয়া নিঃসন্দেহে একটি গৌরবের বিষয়। আইসিডিডিআরবি একটি আন্তর্জাতিক জনস্বাস্থ্য গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ছিল এবং থাকবে।  আমি দেশি-বিদেশি চার হাজার জনেরও বেশি কর্মীর একটি দলকে নেতৃত্ব দেওয়া এবং প্রতিষ্ঠানটিকে পরবর্তী পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়ে গর্বিত। যা আমাদের গবেষণার ব্যাপ্তিকে আরও বিস্তৃত করবে বলে আমি আশাবাদী।

ড. তাহমিদ আহমেদ বলেন, কোভিড-১৯ বিষয়ে গবেষণাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এই চলমান মহামারি জনস্বাস্থ্যকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক গবেষণায় বিনিয়োগের অপরিসীম গুরুত্বকে বিশেষভাবে মনে করিয়ে দেয়।

এতে বলা হয়, ড. তাহমিদ আহমেদ ১৯৮৫ সালে আইসিডিডিআরবি-তে যোগদান করেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তিনি বিভিন্ন দায়িত্বভার পালন করেছেন এবং ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে আইসিডিডিআরবি-র নিউট্রিশন ও ক্লিনিক্যাল সার্ভিসেস বিভাগের সিনিয়র ডিরেক্টর নিযুক্ত হন।  কোভিড-১৯ মহামারির শুরু থেকে নির্বাহী পরিচালক প্রফেসর জন ক্লেমেন্সের নির্দেশনায় ড. আহমেদ আইসিডিডিআরবি-র ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক হিসেবে প্রতিষ্ঠানকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সহকর্মীদের মধ্যে ড. আহমেদ তার দৃঢ় নৈতিকতা এবং তরুণ বিজ্ঞানীদের পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়ার জন্য সমাদৃত।

বিজ্ঞতিতে বলা হয়, ড. আহমেদ একজন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী, যিনি বিশ্ব জনস্বাস্থ্য সম্প্রদায়ের মধ্যে বেশ সম্মানিত। আইসিডিডিআরবি-র বোর্ড অফ ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ন্যান্সি ওয়াই চেং বলেন, আমি নিশ্চিত যে তার নেতৃত্বে আইসিডিডিআরবি বাংলাদেশ ও বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্য ক্ষেত্রে এবং মানুষের স্বাস্থ্য সুবিধা উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে।

ড. আহমেদ তার গবেষণামূলক কাজ এবং শিশু অপুষ্টি রোধ ও এর সহজতর চিকিৎসা ব্যবস্থা সন্ধানে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। বৈজ্ঞানিক গবেষণায় তার অসামান্য অবদানের জন্য তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাম্বুলেটরি পেডিয়াট্রিক অ্যাসোসিয়েশন, কমনওয়েলথ সোসাইটি ফর পেডিয়াট্রিক গ্যাস্ট্রোএন্টারোলোজি অ্যান্ড নিউট্রিশন, এবং ভারতীয় পেডিয়াট্রিক অ্যাসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন জনস্বাস্থ্য সংস্থার পদক পেয়েছেন।

২০১৮ সালে ড. আহমেদ ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক ডেভেলপমেন্ট ট্রান্সফর্মারস পুরস্কারের একজন বিজয়ী হিসেবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পদক গ্রহণ করেছেন।

Pin It