স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অসত্য তথ্য দিয়ে নিয়মিত বাহিনীগুলোর মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। এর মাধ্যমে একটা অন্য ধরনের পরিবেশ সৃষ্টির অপচেষ্টা চলছে। বুধবার নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা জানান।
যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়ানো ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়ে মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার) ডিপার্টমেন্ট রয়েছে। সবসময় মনিটর করছে, কে করছে, কোথা থেকে আসছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সেখানে কাজ করছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সামাজিক অস্থিরতা বাড়ানোর জন্য অনেক তথ্য আসছে সেগুলোর সত্যতার ঘাটতি রয়েছে বা অপলাপ হচ্ছে। আদালতের রায় নিয়েও সমালোচনা হচ্ছে। বিভিন্ন কায়দায় একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য মিথ্যা-অসত্য তথ্য প্রচার করা হচ্ছে জনগণের মধ্যে একটা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার জন্য। আমাদের নিয়মিত বাহিনীগুলোর মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য অসত্য তথ্য দিয়ে একটা অন্য ধরনের পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য তারা এই কাজগুলো করছে বলে প্রতীয়মান হওয়াতে আমরা মঙ্গলবার প্রেস রিলিজটি দিয়েছি।’
কারা এই অপপ্রচার চালাচ্ছেন জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এগুলো তো আপনারা দেখছেন। কিছু কিছু নাম আছে। এগুলো তারাই করছেন কি না, এগুলো তদন্তের বিষয়।
আরো পড়ুন : অডিও ক্লিপ ফাঁস করলো কে, প্রশ্ন নিক্সন চৌধুরীর
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, ফেসবুক অথরিটির সঙ্গে আমাদের মাঝে মধ্যেই বসা হচ্ছে। ফেসবুক আমাদের নিশ্চয়তা দিয়েছে, তারা আমাদের সহযোগিতা করবে। আমরা সবসময় যে সহযোগিতা পাই সেটা আমরা বলব না। আমরা তাদের সবসময় জানাচ্ছি। যারা এই অপপ্রচার করছেন তাদের আইডি সম্পর্কে আমরা জিজ্ঞাসা করছি। তাদের ডিটেইল আমরা চাচ্ছি। এই ধরনের অপপ্রচার যাতে বন্ধ হয় সেই বিষয়ে ব্যবস্থা করার জন্য বলছি। ওনারা (ফেসবুক কর্তৃপক্ষ) মাঝে মাঝে করছেন কিংবা করলে আবার দেখি নতুন আইডির মাধ্যমে তারা আবার করছেন। এগুলো কীভাবে বন্ধ করা যায়- সেই বিষয়ে আমাদের বিশেষজ্ঞরা যারা এই বিষয়ে কাজ করছেন। তারা এটা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করছেন। আমরা ফেসবুকের সঙ্গে প্রায়ই বসি। আবারও আমরা প্রয়োজনে বসব।