দেশে করোনাভাইরাসে প্রথম মৃত্যুর সাড়ে সাত মাসের মাথায় সরকারি হিসাবে মৃতের সংখ্যা ছয় হাজার ছাড়িয়ে গেল।
দেশে করোনাভাইরাসে প্রথম মৃত্যুর সাড়ে সাত মাসের মাথায় সরকারি হিসাবে মৃতের সংখ্যা ছয় হাজার ছাড়িয়ে গেল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় এ ভাইরাসে আক্রান্ত আরও ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাতে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬ হাজার ৪ জন।
দেশে প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ১০ অক্টোবর তা সাড়ে পাঁচ হাজার ছাড়িয়েছিল। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।
গত এক দিনে আরও ১ হাজার ৫১৭ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তাতে দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ১৪ হাজার ১৬৪ জনে।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ, তা ৪ লাখ পেরিয়ে যায় ২৬ অক্টোবর। এর মধ্যে গত ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১ হাজার ৯১০ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৩ লাখ ৩১ হাজার ৬৯৭ জন হয়েছে।
বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ইতোমধ্যে ৪ কোটি ৭৪ লাখ ছাড়িয়েছে, মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে পৌঁছেছে ১২ লাখ ১৪ হাজারের ঘরে।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ২২ তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩১ তম অবস্থানে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১১৪টি ল্যাবে ১৩ হাজার ৯১৪ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট পরীক্ষা হয়েছে ২৩ লাখ ৮৯ হাজার ৬৭৭ টি নমুনা।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১০ দশমিক ৯০ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ৩৩ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮০ দশমিক ০৯ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
গত এক দিনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ১৭ জন, নারী ৪ জন। তাদের প্রত্যেকেই হাসপাতালে মারা গেছেন।
মৃতদের মধ্যে ১৪ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। ২ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে এবং ৪ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ এবং ১ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ছিল।
মৃতদের মধ্যে ১২ জন ঢাকা বিভাগের, ৫ জন চট্টগ্রাম বিভাগের এবং ১ জন করে মোট ৪ জন খুলনা, বরিশাল, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৬ হাজার ৪ জনের মধ্যে ৪ হাজার ৬২১ জনই পুরুষ এবং ১ হাজার ৩৮৩ জন নারী।
মৃতদের মধ্যে ৩ হাজার ১৩২ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়াও ১ হাজার ৫৮৩ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৭৪৬ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৩৩০ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১৩৭ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৪৭ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ২৯ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম।
এর মধ্যে ৩ হাজার ১৩৩ জন ঢাকা বিভাগের, ১ হাজার ১৮৮ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৩৭২ জন রাজশাহী বিভাগের, ৪৭৩ জন খুলনা বিভাগের, ২০১ জন বরিশাল বিভাগের, ২৫০ জন সিলেট বিভাগের, ২৬৪ জন রংপুর বিভাগের এবংF ১২৫ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।