দেশের অর্থনীতি বর্তমানে সবচেয়ে ভঙ্গুর অবস্থায় বলে মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার বিকালে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, আজকে সমৃদ্ধির যে কথা বলা হচ্ছে- এটা শুধু মানুষকে বোকা বানানো ছাড়া আর কিছু নয়। বাংলাদেশের অর্থনীতি আজকে সবচেয়ে ভঙ্গুর অবস্থায়। শুধু তাই নয়, দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে গেছে এবং সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভেঙে ফেলা হয়েছে অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আজকে ৭ নভেম্বরের যে ডাক যেটা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেছেন মানুষ বাঁচাও দেশ বাঁচাও। মানুষকে বাঁচাতে হলে দেশকে বাঁচাতে হলে অবশ্যই আমাদেরকে গণতন্ত্রের মাতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুকত্ত করতে হবে, অবশ্যই গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে হবে।”
৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন জেলায় দলের অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে পুলিশি বাধা ও নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা জানান তিনি।
এর আগে সকালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা শেরেবাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
বিকালের এই ভার্চুয়াল আলোচনার শুরুতে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট রিসার্চ সেন্টার প্রকাশনায় ‘ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর: সিপাহী-জনতার বিপ্লব ও বাংলাদেশের নবজন্ম’ শীর্ষক ই-বুকের উদ্বোধন করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, “আজকের এই বাংলাদেশ ৭ নভেম্বরের বাংলাদেশ নয়, আজকের এই বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ নয়। আজকে আমাদেরকে ৭ নভেম্বরের চেতনায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এদেশের জনগণের কাছে ফিরিয়ে আনতে হবে।”
স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমেদ বলেন, “দেশে গত ১১ বছর যাবত একটা মিথ্যাচারের রাজনীতি দেখছি। ইতিহাসকে বিকৃত করে মিথ্যা বলার একটা সংস্কৃতি দেশে গড়ে উঠে যা অত্যন্ত দুঃখজনক।
“ক্ষমতাসীনরা বার বার মিথ্যা কথাগুলোকে সত্য বলে প্রমাণিত করার চেষ্টা করছেন সেই গোয়েবেলসের মতো, প্রপাগান্ডার মেশিন এমনভাবে চালিয়েছে মনে হয় তারা যা বলছেন তা সত্য কথা।”
স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে যারা এই জাতীয়তাবাদী শক্তির মৃত্যু দেখতে চেয়েছিলেন, তাদের ভাবনা সফল হয়নি।
“ব্যক্তির মৃত্যু হলেও আদর্শ বা চেতনার মৃত্যু হয় না। জিয়াউর রহমান আমাদের কাছে একটি চেতনা। যে চেতনা দেশকে ভালোবাসতে শেখায়, যে চেতনা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে আমাদেরকে সাহসী করে।”
মির্জা ফখরুলের সভাপতিত্বে ও দলের প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীর পরিচালনায় আলোচনা সভায় কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মইন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মাহবুবউল্লাহ বক্তব্য দেন।