যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির কংগ্রেস আইনসভা বা ক্যাপিটল ভবনে হামলা চালিয়েছে ট্রাম্পপন্থী সমর্থেরা। ক্যাপিটল ভবনের ভিতরে সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত নারীসহ চারজন নিহত হয়েছেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে ১২ ঘণ্টার কারফিউ জারি করা হয়েছে।![]()

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেনের জয় আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন করার জন্য দেশটির আইন প্রণেতারা যখন অধিবেশনে বসেছিলেন এসময় ট্রাম্পের শত শত সমর্থক ক্যাপিটলে ঢুকে পড়ে।



হোয়াইট হাউজ এবং পেন্টাগনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ওয়াশিংটনে এবং এর আশেপাশের রাজ্যে জাতীয় নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুই হাজার ৭০০ এর বেশি নিরাপত্তা রক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে।


ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ট্রাম্পের পোস্ট সরানোর বিষয়ে জানিয়েছে, ওয়াশিংটনে সহিংস বিক্ষোভ দেশটির জন্য অপমানজনক। আমরা সবসময় উস্কানি নিষিদ্ধ করি এবং সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানাই।

বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সমর্থকদের হামলার নিন্দা জানিয়ে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, এই বিক্ষোভ একটি বিদ্রোহের সমতুল্য। এখনই ট্রাম্পের অবসান হওয়া উচিত। এই সময় আমাদের গণতন্ত্র এক নজিরবিহীন আক্রমণের মুখে।এ ঘটনার সমালোচনার ঝড় তুলেছেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের নেতারা। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এক টুইটে বলেন, মার্কিন কংগ্রেসে লজ্জাজনক দৃশ্য। যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্রের জন্য পুরো বিশ্বের উদাহরণ। তারা গণতন্ত্রের জন্যে পুরো বিশ্ব দৌড়ে বেড়ায়, কিন্তু ক্ষমতা হস্তান্তরের আগে এরকম একটি পরিস্থিতি সত্যি অগ্রণযোগ্য। নিয়ম অনুযায়ী ও শান্তি অব্যাহত রেখে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার প্রয়োজন।




