যুক্তরাষ্ট্রে যে ইস্যুতে দীর্ঘকাল ধরে বিভক্তি রয়েছে ডেমোক্র্যাট এবং রিপাবলিকানদের মধ্যে, দায়িত্ব নেওয়ার আগেই সেই বিষয় সমাধান করতে পরিকল্পনা নিয়েছেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে কংগ্রেসকে দেশটির প্রায় ১১ মিলিয়ন মানুষকে আইনি মর্যাদা বা নাগরিকত্ব দেওয়ার অনুরোধ করেছেন।
শনিবার জো বাইডেনের পরিকল্পনা সম্পর্কে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করা লাখ লাখ অভিবাসীকে নাগরিকত্বের পথ সুগম করার জন্য অফিসে প্রেসিডেন্টের প্রথম দিনেই অভিবাসনের নিয়ম বদলাতে নতুন নির্বাহী আদেশ দেবেন। খবর এপির
নির্বাচনী প্রচারণায় অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বাস করা প্রায় ১১ মিলিয়ন মানুষকে নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা উল্লেখ করেছিলেন বাইডেন। তবে এটি স্পষ্ট ছিল না যে করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলা, ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধার এবং অন্যান্য অগ্রাধিকারগুলোর পাশাপাশি এ বিষয়ে তিনি কত দ্রুত পদক্ষেপ নেবেন।
বাইডেনের এ পরিকল্পনা ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুতে। কারণ ২০১৬ সালে নির্বাচনী প্রচারণায় অবৈধ অভিবাসন বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সাফল্য পেয়েছিলেন ট্রাম্প।
বাইডেনের এই নির্বাহী আদেশ সম্পর্কে ব্রিফ করা জাতীয় ইমিগ্রেশন আইন কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক মেরিলেনা হিনকাপি বলেন, এটি ট্রাম্পের অভিবাসীবিরোধী এজেন্ডার বিপরীতে সত্যিই এক ঐতিহাসিক পরিবর্তন। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সব অবৈধ অভিবাসীদের নাগরিকত্বের স্বীকৃতি দেবে এটি।
যদি সফল হয় তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের ৪০তম প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগানের ১৯৮৬ সালে প্রায় ৩০ লাখ অভিবাসীকে সাধারণ ক্ষমার আদেশ দেওয়ার পর এ আইনটি হবে দেশটিতে অবৈধভাবে বসবাস করা মানুষদের মর্যাদা দেওয়ার সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ।
তবে ২০০৭ ও ২০১৩ সালে ব্যর্থ হয় অভিবাসন নীতি বদলের আইনি প্রচেষ্টা।
অভিবাসন ছাড়াও আবাসন ও শিক্ষা ঋণ, জলবায়ু পরিবর্তনসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নীতি পরিবর্তনের জন্য অভিষেকের দিনেই নির্বাহী আদেশ দিতে পারেন নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
আগামী ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার কথা জো বাইডেনের।