দেশে ফের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে চলেছে। ইতোমধ্যে বহু মানুষ কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। অনেক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তাই প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে সংক্রমণ হলে বিশেষ যত্নের প্রয়োজন।
এ সময় খাওয়ার ব্যাপারে খুবই সচেতন হতে হবে। পাশাপাশি সংক্রমিতদের পর্যাপ্ত ফল খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে বিভিন্ন ফলে থাকা ভিটামিন সি। শুধু কমলালেবু নয়, প্রায় সব রকম ফলেই ভিটামিন সি আছে।
করোনা আক্রান্ত হলে যেসব ফল খাওয়া প্রয়োজন-
লেবু ও আমলকী: লেবু ও আমলকীতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া যায়। সকালে হালকা গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে খেলে অসুখের কষ্ট কমবে।
অন্য ফল: গরমে আঙুর, পেয়ারা, আপেল, পেঁপে, শসা, কলা, তরমুজসহ নানা ধরনের ফল পাওয়া যায়। প্রতিদিন অন্তত তিন থেকে চার রকমের ফল খেতে হবে। সকালের নাস্তায় কলা, আপেল বা পেয়ারা খেতে পারেন। বেলা একটু বাড়লে পেঁপে বা তরমুজ খাওয়া যেতে পারে।
এছাড়া আঙুর, পেঁপে, তরমুজ, কলা টুকরো করে সামান্য মধু মিশিয়ে ফ্রুট সালাদ করেও খাওয়া যেতে পারে সকাল বা বিকেলের নাস্তায়। রোজ ফল খেতে ভালো না লাগলে, দই মিশিয়ে স্মুদি বানিয়ে খেলে ভালো লাগবে।
সব রকমের ফলেই যথেষ্ট পরিমাণে ভিটামিন সি, ফোলেট, ডায়েটারি ফাইবার, বিভিন্ন দরকারি খনিজ ও পর্যাপ্ত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। এগুলো সবই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।
টক দই: প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় টক দই রাখা জরুরি। দইয়ের ল্যাকটোব্যাসিলাস গোত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়া অন্য জীবাণুদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। এটি ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করে। সেই সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়।
বারডেম হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ শামসুন্নাহার নাহিদ বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধের প্রথম ধাপ হলো ব্যক্তিগত সচেতনতা গড়ে তোলা এবং প্রত্যেকের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্থাৎ ইমিউন সিস্টেম বাড়িয়ে তোলা। এর ফলে করোনাভাইরাস সংক্রমণের যে মারাত্মক লক্ষ্মণ অর্থাৎ শ্বাসযন্ত্র এবং পরিপাকতন্ত্রের সংক্রমণ, সেগুলো সহজে প্রতিরোধ করা সম্ভব।
তিনি বলেন, যেকোনো ভাইরাস হলো প্রোটিন যুক্ত অণুজীব, যার কারণে মানুষ জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট এমনকি মারাত্মক নিউমোনিয়ায় (নতুনভাবে) আক্রান্ত হতে পারে। তা ছাড়া এই ভাইরাস ভয়ংকর প্রাণঘাতী রোগ তৈরি করতে পারে খুব সহজে। তাই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বেশি পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে প্রতিদিন।