ব্যাংক ও ডাকঘর থেকে ‘বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র’ কেনা যাবে না

image-422428-1621435546

এখন থেকে কোনো ব্যাংক কিংবা ডাকঘর থেকে ৫ বছর মেয়াদি ‘বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র’ কেনা যাবে না। শুধুমাত্র জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের আওতাধীন সঞ্চয় ব্যুরো থেকে এই সঞ্চয়পত্র কিনতে হবে।

গেল মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে বলা হয়, প্রজ্ঞাপন জারির দিন থেকেই নতুন এই আদেশ কার্যকর হবে।

তবে বাকি ৩ ধরনের সঞ্চয়পত্র ব্যাংক কিংবা ডাকঘর থেকে কেনা যাবে। সেগুলো হলো- পরিবার সঞ্চয়পত্র, তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র ও পেনশনার সঞ্চয়পত্র।

সারা দেশে ৭০টির বেশি জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের আওতাধীন সঞ্চয় ব্যুরো রয়েছে। সেগুলো থেকে বিনিয়োগকারীরা পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র কিনতে পারবেন।

কারা এবং কত টাকার বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র কিনতে পারবেন: সব শ্রেণি ও পেশার বাংলাদেশি নাগরিক এই সঞ্চয়পত্র কিনতে পারবেন। সেক্ষেত্রে একজন বিনিয়োগকারী চাইলে একক নামে সর্বোচ্চ ৩০ লাখ টাকা এবং যৌথ নামে সর্বোচ্চ ৬০ লাখ টাকার পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র কিনতে পারবেন।

এ ছাড়া নাবালকের নামেও এই সঞ্চয়পত্র কেনা যাবে। কোনো প্রতিষ্ঠান চাইলেও সঞ্চয়পত্র কিনতে পারে। তবে প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে টাকার পরিমাণ ও সময়সীমা নেই। প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃত ভবিষ্যৎ তহবিলের অনুকূলেও এই সঞ্চয়পত্র কেনা যাবে।

এছাড়াও সঞ্চয়পত্র কেনা যাবে মৎস্য খামার, হাস-মুরগির খামার, পোলট্রি ফিড উৎপাদন, বীজ উৎপাদন, স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদিত বীজ বিপণন, গবাদিপশুর খামার, দুগ্ধ ও দুগ্ধজাত দ্রব্যের খামার, ব্যাঙ উৎপাদন খামার, উদ্যান খামার প্রকল্প, রেশম গুটিপোকা পালনের খামার, ছত্রাক উৎপাদন এবং ফল ও লতা পাতার চাষ থেকে উপার্জিত আয় দিয়ে।

Pin It