পরিচয় নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে থাকে একটি পক্ষ: তথ্যমন্ত্রী

hasan-mahmud-260521-01

অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র রচনার জন্যই বাংলাদেশের অভ্যুদয় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

বুধবার সকালে রাজধানীর শাহবাগে বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে বাংলাদেশ বৌদ্ধ সাংস্কৃতিক পরিষদ আয়োজিত জাতীয় সম্মিলিত প্রতীকী শান্তি শোভাযাত্রা ও সম্প্রীতি উৎসবে তিনি একথা বলেন।

বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, “সকল ধর্মের মানুষের মিলিত রক্তস্রোতের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের স্বাধীনতা। আর স্বাধীনতার অন্যতম লক্ষ্য হিসেবে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তেই পাকিস্তানের সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রব্যবস্থা থেকে আমরা বেরিয়ে এসেছি এবং সে কারণেই আমাদের সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা বর্ণিত রয়েছে।”

“ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে অনেক অপপ্রচার চালানো হয়, কিন্তু ধর্মনিরপেক্ষতার অর্থ প্রত্যেকে নিজ নিজ ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করবে। যে ফিলিস্তিনকে সব মুসলিম দেশ সমর্থন দেয়, সেই ফিলিস্তিনেও ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি, ইরাকেও তাই।”

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, “আমাদের দল মনে করে, সবার আগে আমাদের পরিচয় আমরা বাঙালি, তারপর আমরা হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান বা অন্যান্য ধর্মের অনুসারী। কিন্তু বাংলাদেশে এমন একটি পক্ষ আছে যারা ধর্মের পরিচয়কেই আগে রাখে। আর তারপর তারা বাঙালি না বাংলাদেশি এ নিয়ে সার্বক্ষণিক দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভোগে। সেখানেই তাদের সাথে আমাদের পার্থক্য।

মানুষের মধ্যে শান্তি-সম্প্রীতি-সাম্য প্রতিষ্ঠাই সকল ধর্মের মূলমন্ত্র আর বৌদ্ধ ধর্ম আরো একধাপ এগিয়ে সকল জীবের কল্যাণে ব্রতী বলেও মন্তব্য করেন হাছান মাহমুদ।

বৌদ্ধ সাংস্কৃতিক পরিষদের সভাপতি উত্তম কুমার বড়ুয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক প্রসেনজিৎ বড়ুয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়াও বক্তব্য দেন।

Pin It