মুসলিম পরিবারকে হত্যার ঘটনাকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ বললেন ট্রুডো

image-250164-1623174692

কানাডার অন্টারিও প্রদেশের লন্ডন শহরে পূর্ব-পরিকল্পিত হামলায় এক মুসলিম পরিবারের চার সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনাকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। মঙ্গলবার (৮ জুন) হাউস অফ কমন্সে নিহতদের স্মরণে এক মুহুর্ত নীরবতা পালন শেষে তিনি এ কথা বলেন। খবর প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও আনাদোলু।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি একটি সন্ত্রাসী হামলা ছিল। অপরাধী ঘৃণা দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে এ হামলা চালিয়েছে। অনলাইন এবং অফলাইনে আমরা ঘৃণার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবো। এই ধরনের গোষ্ঠীগুলোকে ধ্বংস করতে আরো পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এর আগে এক টুইট বার্তায় জাস্টিন ট্রুডো লিখেছেন, ‘অন্টারিও’র ঘটনায় আমি মর্মাহত। গতকালের ঘৃণ্য ঘটনায় যারা তাদের প্রিয়জনদের হারিয়েছেন, আমরা আপনাদের পাশে আছি। আমরা পাশে আছি হাসপাতালে থাকা শিশুটিরও।’

জানা গেছে, নিহতদের মধ্যে তিনজন নারী। একজনের বয়স ৭৪ বছর, অপরজন তার পূত্রবধু মাদিহা সালমান (৪৪)। এ ছাড়া পূত্র সালমান আফজাল (৪৬) এবং ১৫ বছর বয়স্ক নাতনি ইয়ুমনা আফজালও নিহত হয়েছে।

মুসলিম পরিবারকে হত্যার ঘটনাকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ বললেন ট্রুডো

পুলিশ জানায়, পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে পিকআপ ট্রাক চাপা দিয়ে ওই পরিবারটির সবাইকে হত্যা করতে চেয়েছিল অভিযুক্ত খুনি। কিন্তু ভাগ্যক্রমে একমাত্র সদস্য হিসেবে নয় বছরের শিশু (ফয়েজ আফজাল- সালমান আফজালের পূত্র) বেঁচে গেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে কানাডা পুলিশ।

অভিযুক্ত ২০ বছর বয়সী কানাডিয়ান তরুণ। তার বিরুদ্ধে ৪ জনকে হত্যা ও এক জনকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে। বলা হচ্ছে, ২০১৭ সালে কুইবেক শহরের মসজিদে ৬ জনকে হত্যার পর কানাডার মুসলিমদের ওপর এটাই সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা।

সোমবার (৭ জুন) এক সংবাদ সম্মেলনে গোয়েন্দা পুলিশের সুপারিনটেনডেন্ট পল ওয়েট বলেছেন, ‘মুসলিম হওয়ার কারণে এসব মানুষের ওপর হামলা করা হয়েছে বলে ধারণা। পুলিশ এতে সম্ভাব্য সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগও খতিয়ে দেখছে। অভিযুক্ত হামলাকারীর নাম নাথানিয়াল ভেল্টম্যান। লন্ডন শহরের বাসিন্দা তিনি। হামলার পর সেখান থেকে ৬ কিলোমিটার দূরের একটি বিপণিবিতান থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।’

Pin It