সারা দেশে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৫৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগের ফল প্রকাশিত হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) রাতে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) ওয়েবসাইটে এই ফল প্রকাশ করা হয়। দীর্ঘদিনের মামলা জটিলতার পর তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তির ফল প্রকাশ করেছে এনটিআরসিএ।
এর আগে এনটিআরসিএ সূত্র জানিয়েছিল, বৃহস্পতিবার বিকেলে শিক্ষামন্ত্রীর হাতে ফলের অনুলিপি দেওয়া হবে। পাস করা প্রার্থীরা এসএমএস পাবেন। অথবা নিয়োগ প্রার্থীরা (http://ngi.teletalk.com.bd/ntrca/app/) এ ঠিকানায় গিয়ে ফল জানতে পারবেন।
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) সচিব এ টি এম মাহবুব-উল করিম বলেন, ‘ওয়েবসাইটে ফল প্রকাশ করা হয়েছে। পরে নির্বাচিত প্রার্থীদের মোবাইলে এসএমএসও দেওয়া হবে।’
২০১৭ সালের ১৪ ডিসেম্বর একটি রায় দেন হাইকোর্ট। ওই রায়ে কয়েক দফা নির্দেশনা ছিল। এরমধ্যে একটি ছিল সম্মিলিত মেধা তালিকা অনুযায়ী রিট আবেদনকারী এবং অন্যান্য আবেদনকারীদের নামে সনদ জারি করবে। কিন্তু দুবছরেও রায় বাস্তবায়ন না করায় রিট আবেদনকারীরা আদালত অবমাননার আবেদন করেন। সে আবেদনের শুনানি করে ২০১৯ সালে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
ওই রুল বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায় ৫৪ হাজার পদের জন্য গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে এনটিআরসিএ। এরপর নিয়োগ বিরত থাকতে একটি আবেদন করেন রিটকারীরা। তাদের আবেদনের ভিত্তিতে গত ৬ মে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি স্থগিতের আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে প্রথম থেকে ১২তম নিবন্ধন পরীক্ষার সনদধারীদের মধ্যে যারা বঞ্চিত মনে করে আদালতে গিয়েছিলেন তাদেরকে সাত দিনের মধ্যে নিয়োগ দেওয়ার সুপারিশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এরপর ৩১ মে নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সনদধারী ও অবমাননার আবেদনকারীদের উচ্চ আদালতের রায়ের নির্দেশনা অনুসারে চার সপ্তাহের মধ্যে নিয়োগের সুপারিশ করতে এনটিআরসিএ-কে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এরপর এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে এনটিআরিসিএ। আপিলের ভিত্তিতে রিটকারীদের আবেদন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। এতে শিক্ষক নিয়োগে বাধা দূর হয়।