আগস্ট এলেই বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকার কথা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ৷
কারণ ১৫ আগস্ট প্রাইম টার্গেট ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রাইম টার্গেট ছিলেন তার কন্যা শেখ হাসিনা বলে তিনি জানান।
রোববার (১ আগস্ট) ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবনে ব্রিফিংকালে এ কথা জানান।
আগস্টের শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করে করোনা সংকটে অসহায় মানুষের পাশে দঁড়ানোর পাশাপাশি তিনি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক ধারায় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার কাজে সবাইকে আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, চলমান করোনা সংকটে অসহায়, দুঃখি মানুষের পাশে দাঁড়ালেই বঙ্গবন্ধুর প্রতি সঠিক সম্মান প্রদর্শন এবং তাঁর আত্মা শান্তি পাবে।
তিনি বলেন, আগস্ট এলেই বঙ্গবন্ধুকন্যার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকি জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১৯৮১ সালে তিনি দেশে ফিরে আসার পর তাঁকে প্রায় ২০ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়। যারা খুনের কুশীলব ছিলেন তাদের অপমৃত্যু হয়েছে ৷ ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করিনি, ক্ষমা করেও না। এদেশে যারা রক্তাক্ত আগস্ট ঘটিয়েছিলেন, যারা ছিলেন বেনিফিশিয়ারি তাদের বিচার প্রকৃতির আদালতেই সম্পূর্ণ হয়েছে।
ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ছিলো ১৫ আগস্ট, নির্মমতার দিক থেকে এমন রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের নজির পৃথিবীতে আর নেই উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জগতে অন্যান্য হত্যাকাণ্ডে নিষ্পাপ শিশুকে হত্যা করা হয়নি, টার্গেট করা হয়নি অবলা নারীকে, অন্তঃসত্ত্বা নারীকে। সেদিন শুধু বঙ্গবন্ধুই নন, তাঁর সহধর্মিণী মহিয়সী নারী বঙ্গমাতা বেগম মুজিবসহ নৃশংসভাবে নিহত হন পরিবারের অন্যান্য সদস্য।
১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাযজ্ঞ ঘটিয়ে ষড়যন্ত্রকারীরা থেমে থাকেননি, তারা পরবর্তীতে তিন নভেম্বর জাতীয় চার নেতাকে জেলের অভ্যন্তরে কারাকক্ষে হত্যা করে, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চলানো হয় উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলা ছিলো একই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা। ১৫ আগস্ট প্রাইম টার্গেট ছিলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আর একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রাইম টার্গেট ছিলো বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। ১৫ ও ২১ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের কুশীলবরা এখনো সক্রিয়, তারা উন্নয়ন, শান্তি ও স্বস্তির বাংলাদেশ চায় না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সমৃদ্ধ আগামীর পথে এগিয়ে যাওয়া তাদের গাত্রদাহ ৷ তারা চায় সংঘাতে জর্জরিত রক্তময় প্রান্তর।