‘জমকালো’ উদ্বোধন হবে পদ্মাসেতুর

434091_175

পদ্মা সেতুর উদ্বোধন ৬৪ জেলা থেকে একযোগে ‘সুপার গর্জিয়াসভাবে’ হবে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেছেন, এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী জানাবেন।

সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা জানান।

বৈঠকে আলোচ্যসূচির বাইরে আলোচনার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “পদ্মা সেতুর উদ্বোধন আপনারাই বলেন, যে ম্রিয়মান হওয়া উচিত? নাকি গর্জিয়াস হওয়া উচিত?”

জবাবে সাংবাদিকরা বলেন, ‘গর্জিয়াস।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “তাহলে ইনশাআল্লাহ সুপার গর্জিয়াস। যেটা হবে সেটা তো মাননীয় (প্রধানমন্ত্রী) বলবেন।”

এসময় আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, “ওইদিন ৬৪ জেলায় একসঙ্গে রেপ্লিকেশন হবে। এখানে অরিজিনাল উদ্বোধন, সব জায়গায় রেপ্লিকেশন হবে।”

২৫ জুন সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করবেন। আর এ সেতুর নাম পদ্মা নদীর নামেই হবে বলে এরই মধ্যে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

দক্ষিণ জনপদের সঙ্গে রাজধানীর সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের এই সেতুর নাম ‘শেখ হাসিনা সেতু’ করার দাবি জানিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। তবে দলের সভাপতি শেখ হাসিনা তাতে সায় দেননি।

পদ্মা নদীর বুকে নিজস্ব অর্থায়নে ৩০ হাজার কোটি টাকায় ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতুর কাজ ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে উদ্বোধন হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে বসে প্রথম স্প্যান।

মাঝে ২২টি খুঁটির নিচে নরম মাটি পাওয়া গেলে নকশা সংশোধনের প্রয়োজন হয়। তাতে বাড়তি সময় লেগে যায় প্রায় এক বছর। করোনাভাইরাস মহামারী আর বন্যার মধ্যে কাজের গতি কমে যায়।

সব বাধা পেরিয়ে অক্টোবরে বসানো হয় ৩২তম স্প্যান। এরপর বাকি স্প্যানগুলো বসানো হয়ে যায় অল্প সময়ের মধ্যেই। ঠিক পাঁচ বছরের মাথায় পূর্ণ আকৃতি পায় স্বপ্নের সেতু, যুক্ত হয় পদ্মার দুই পাড়।

Pin It