এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা।
শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী জাতীয়করণ প্রত্যাশী মহাজোটের ব্যানারে তাদের অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে দেখা যায়।
এর আগে শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন তারা।
অবস্থান কর্মসূচিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা শিক্ষক-কর্মচারীদের অংশ নিতে দেখা যায়। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত লাগাতার এ কর্মসূচি চলবে বলে জোটের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী জাতীয়করণ প্রত্যাশী মহাজোটের যুগ্ম আহ্বায়ক প্রিন্সিপল দেলোয়ার হোসেন আজিজী বলেন, জাতির পিতার সুস্পষ্ট ঘোষণা ছিল, ‘শিক্ষার জন্য খরচ কোনো ব্যয় নয়, বরং ইহা উত্তম বিনিয়োগ’। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধ বিধ্বস্ত ও ভঙ্গুর অর্থনীতির দেশে ১৯৭৩ সালে ৩৭ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও ২০১৩ সালে প্রায় ২৬ হাজার ১০০টির বেশি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ এখন সময়ের দাবি।
তিনি আরো বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণে প্রয়োজন শুধু সরকারের সদিচ্ছা ও সুষ্ঠু নীতিমালা। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীদের মাসিক বেতন ও টিউশন ফি বাবদ যা আয় হয় তার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারলেই ভুর্তুকী ছাড়াই এটি জাতীয়করণ সম্ভব।
অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা আরো বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। পাঠ্যক্রম, আইন এবং একই মন্ত্রণালয়ের অধীনে শিক্ষা ব্যবস্থা পরিচালিত হলেও সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বড় পার্থক্য রয়েছে। অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্ট শিক্ষক-কর্মচারীদের কাছ থেকে প্রতি মাসে বেতনের ১০ হারে কেটে রাখলেও বৃদ্ধ বয়সে যথাসময়ে এ টাকা প্রাপ্তির নিশ্চয়তা নেই। অনেক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারী টাকার অভাবে বিনা চিকিৎসায় মারা যান।
অবস্থান কর্মসূচিতে আরো বক্তব্য রাখেন বাবেশিকফোর মহাসচিব মো. রফিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি ফয়েজ আহমেদ, বাশিস সভাপতি ড. ইদ্রিস আলী, অনলাইন শিক্ষক পরিষদের সভাপতি শাহ আলম প্রমুখ।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী ফোরাম (বাবেশিকফো), বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক-কর্মচারী ফোরাম, এমপিওভুক্ত শিক্ষক অনলাইন পরিষদ, বাংলাদেশ সহকারি প্রধান শিক্ষক সমিতি, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষক পরিষদ, বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ, বাংলাদেশ শিক্ষক সমাজ, ভোকেশনাল শিক্ষক সমিতি, জাতীয়করণ মঞ্চ, মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতি, বদলী প্রত্যাশী ’৭১, এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৃতীয় শ্রেণী কর্মচারী পরিষদসহ বিভিন্ন শিক্ষক কর্মচারী সংগঠনের সমন্বয়ে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী জাতীয়করণ প্রত্যাশী মহাজোট গঠন করা হয়।