গরম পানিতে গোসলের সুবিধা

uj

গরমের মধ্যেও গরম পানিতে গোসল করার উপকারিতা রয়েছে।

মাঝেই মাঝেই বৃষ্টি হয়ে পরিবেশ ঠাণ্ডা করে দিয়ে যাচ্ছে। এরমধ্যে কুসুম গরম পানিতে গোসল করাটা বেশ আরামদায়ক।

শুধু আরাম নয়, হালকা গরম পানিতে গোসল করা থেকে আরও নানান উপকারিতা মেলে।

এই বিষয়ে জার্মানির ‘মোজো: ইন্সটিটিউট রিজেনারেটিভ মেডিসিন’য়ের চিকিৎসক গেরিট কেফারস্টেইন বলেন, “পেশির জড়তা কাটাতে কুসুম গরম পানি ভালো কাজ দেয়। তাছাড়া গরম পানিতে গোছলের ফলে ‘প্যারাসিম্প্যাথেটি নার্ভাস সিস্টেম’ সক্রিয় হয়, যে কারণে এক ধরনের শিথিল ক্লান্তিভাব জাগে। এর ফলে ঘুম ভালো হয়।”

হেল্থলাইন ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তিনি আরও জানান, ফুসফুসের সংক্রমণ, ত্বকের সমস্যা দূর, পেশি শিথিল করতে গরম পানিতে গোসল উপকারী।

ঠাণ্ডার সমস্যা কমাতে

গরম পানির ধারা বা শাওয়ারের নিচে দাঁড়িয়ে থাকাটা ‘প্রাকৃতিক টোটকা’ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এরফলে ঠাণ্ডা ও কাশির সমস্যায় উপশম মেলে।

ডা. কেফারস্টেইন বলেন, “গরম পানি ও বাষ্প এক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা রাখে।”

নিঃশ্বাসের রাস্তা উন্মুক্ত হয়, কফ তরল করে বের হয়ে যেতে সাহায্য করে ও নাক বন্ধভাব দূর করে।

ত্বকের উন্নতি

গরম পানির কারণে লোমকূপ উন্মুক্ত হয়। ফলে জমে থাকা ত্বকের তেল, ঘাম, ময়লা ভালো মতো পরিষ্কার করা যায়।

পেশির আরাম

গরম পানিতে গোসলের ফলে পেশি শিথিল হয়্। যে কারণে পেশির ব্যথা ও জড়তা কাটে।

কিছু অপকারিতাও আছে

·        গরম পানিতে গোসলের ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে অস্বস্তি তৈরি করতে পারে।

·        ডা. কেফারস্টেইন ব্যাখ্যা করেন, “গরম পানি ত্বকের ওপরে কেরাটিন কোষের ক্ষতি করে, যা আসলে চামড়ার উপরের স্তর। এই স্তরে সমস্যা হলে ত্বক শুষ্ক হয় আর আর্দ্রতা ধরে রাখতে পারে না।

·        একজিমা বা অন্য কোনো চর্মরোগ থাকলে গরম পানি সেসব সমস্যা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। এর প্রধান কারণ ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া।

·        গরম পানিতে গোসলের ফলে অনেক সময় চুলকানি দেখা দেয়। এর কারণ হল, তাপ ‘মাস্ট’ কোষ উজ্জিবিত করে এর উপাদান নিঃসরণে সক্রিয় করে তোলে; যা কিনা হিস্টামিন। এরফলে ত্বক চুলকায়।

·        রক্তচাপও বাড়াতে পারে গরম পানি। যদি হৃদসংক্রান্ত জটিলতা ও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকে তবে অনেকক্ষণ গরম পানিত গোসল করলে এসব সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে।

এই কারণে বেশি গরম নয় বরং আরামের জন্য কুসুম গরম পানিতে গোসল করা হল উপকারী। আর গোছলের পরপর ত্বক ভেজা থাকতেই ময়েশ্চারাইজার মাখতে হবে। তাহলে অন্তত চুলকানির সমস্যা দেখা দেবে না।

Pin It