রাজশাহীতে গুটি আমের কেজি ২০ টাকা, গোপালভোগ ৪০

image-675698-1684331715

রাজশাহীর বাজারে আসতে শুরু করেছে গোপালভোগ আম। উন্নত জাতের সুমিষ্ট আমের মধ্যে গোপালভোগ অন্যতম। তাই এ আমের চাহিদাও ব্যাপক। এ কারণে চড়া দামেই হাট-বাজারে হাঁকডাকে জমে উঠেছে এ আমের বেচাকেনা। অনলাইন বাজারও জমে উঠেছে। এবার আম বেচাকেনার লক্ষ্যমাত্রা দেড় হাজার কোটি টাকা বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

স্থানীয় বাজারে বুধবার মানভেদে প্রতি মণ গোপালভোগ আম বিক্রি হচ্ছে ১৬০০ থেকে ২৮০০ টাকায়। গুটি জাতের আম ৮০০ থেকে ১২০০ টাকায় পাইকারি কেনাবেচা হচ্ছে। এ হিসাবে গোপালভোগ ৪০ থেকে ৭০ টাকা কেজি আর গুটি আমের দাম ২০-৩০ টাকা কেজি।

এদিকে পাইকারি বাজারের চেয়ে খুচরা বাজারে আমের দাম প্রতি মণে ২০০ থেকে ৪০০ টাকা বেশি। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি গোপালভোগ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে।

জেলার আম সংগ্রহ, পরিবহণ, বিপণন ও বাজারজাত মনিটরিং সংক্রান্ত সভায় ঘোষিত ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, সোমবার থেকে গোপালভোগ আম বাজারে আসার কথা। তবে এর দুই দিন আগে থেকেই গোপালভোগ বাজারে আসতে শুরু করে। আর এখন বাজার দখল করে আছে গোপালভোগ আম।

বানেশ্বরের আম ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক জানান, ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডারের প্রথম দিনেই তিনি গাছ থেকে ১২ মণ গোপালভোগ আম নামিয়েছেন। সেই আম তিনি পাইকারি মণপ্রতি ২০০০ থেকে ২৩০০ টাকায় বিক্রি করেছেন। তবে এখন দাম প্রতি মণে এক থেকে দেড়শ টাকা বেশি।

বাঘা উপজেলার আড়ানী বাজারের আমের আড়তদার রফিকুল ইসলাম জানান, গতবারের চেয়ে এ বছর আম বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। মানভেদে বাজারে মণপ্রতি গোপালভোগ ১৬০০ থেকে ২০০০ টাকা ও গুটি জাতের আম ৮০০ থেকে ১২০০ টাকায় পাইকারি কেনাবেচা হচ্ছে।

রাজশাহী নগরীর কাদিরগঞ্জ এলাকার আমের ক্রেতা আমিনুল ইসলাম জানান, প্রতি বছরই মৌসুমের প্রথমদিকে আমের দাম বেশি থাকে। আর খুচরা বাজারে তো ব্যবসায়ীরা ইচ্ছামতো দাম আদায় করেন। এবারো তার ব্যতিক্রম হয়নি। উপশহর নিউমার্কেট এলাকা থেকে ১ কেজি গোপালভোগ পাকা আম কিনেছেন ৮০ টাকায়।

জেলায় ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডারের ঘোষণা অনুযায়ী, গুটি আমের পর গোপালভোগ ১৫ মে, লক্ষণভোগ বা লখনা ও রানীপসন্দ ২০ মে এবং হিমসাগর বা ক্ষীরশাপাত ২৫ মে থেকে বাজারজাত করা যাবে। বাকি অন্যান্য জাতের আম একে একে বাজারে আসবে।

আম ব্যবসায়ী রাশেদুল ইসলাম জানান, তিনি অনলাইন ও বাজারে আম বিক্রি করছেন। অনলাইনেই বেশি বেচাকেনা করতে পারছেন। মঙ্গলবার তিনি আড়াই মণ গোপালভোগ বিক্রি করেছেন ২ হাজার ৮০০ টাকা মণ দরে।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মোজদার হোসেন জানান, রাজশাহীতে আমের দাম এবার ভালোই আছে। তারা যে দেড় হাজার কোটি টাকার আম বেচাকেনার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছিলেন তা বাস্তবায়ন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

আর পাইকারি ও খুচরা বাজারে আমের দামের তারতম্য কিছুটা থাকেই। তবে এ মাত্রাটা যেন খুব বেশি না হয়, সেদিকে তারা লক্ষ্য রাখছেন। গণমাধ্যম যদি সরব থাকে তবে সাধারণ চাষিরা লাভবান হবেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

Pin It