সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা শেষে সস্ত্রীক দেশে ফিরেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি।
এ সময় বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করেন, ‘সরকারের হয়রানি করার যত রকম কৌশল আছে, বিমানবন্দরে তাই ফেইস করতে হয়েছে। যারা বিরোধী দল করি সবাইকেই করতে হয়। যাওয়ার সময় ইমিগ্রেশনে হয়রানি করে। ফেরার সময় হয়রানি করে। এটা এখন আমাদের জীবনের অংশ হয়ে গেছে। আমি চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গিয়েছি। তারপরও হয়রানির স্বীকার হতে হয়েছে।’
চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে থাকালীন সময়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতাদের বিভিন্ন অপপ্রচারের জবাব দেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতাদের এসব আমার রুচির বাইরে। এসব নিয়ে কথা বলতে চাই না। দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে সরকার দেশে এমন একটা সমাজ তৈরি করে ফেলেছে, এমন একটা জগৎ তৈরি করেছে সেখানে নোংরামি ছাড়া কিছু নেই। এটা একটা দুঃখজনক ব্যাপার। আমরা যারা রাজনীতি করি, মুক্তিযুদ্ধের সময় জড়িত ছিলাম, গণতান্ত্রিক সংগ্রামে জড়িত আছি- আমাদেরকে জড়িয়েও এসব নোংরা কথাবার্তা ছড়ায়। এ বিষয়ে উত্তর দেওয়াটাও লজ্জাকর বিষয়।’
গত ২৪ আগস্ট চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যান বিএনপি মহাসচিব ও তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম। দুজনেই নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। ফলোআপ চিকিৎসায় সিঙ্গাপুর যান তারা।
কয়েক বছর আগে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ঘাড়ে ইন্টারনাল ক্যারোটিড আর্টারিতে ব্লক ধরা পড়ে। এছাড়া তার গলার ধমনিতে রক্ত চলাচলেও জটিলতা সৃষ্টি হয়েছিল। সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে তার চিকিৎসা হয়। তাকে চিকিৎসার ফলোআপের জন্য প্রতিবছর সিঙ্গাপুরে যেতে হয়। তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগমের সম্প্রতি একটি অস্ত্রোপচার হয়। তিনিও সিঙ্গাপুরের র্যাফেলস হসপিটালে চিকিৎসা নেন।