মাঠের বাইরে নানা আলোচনা-সমালোচনা। হারতে থাকা দলে ছিল আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি।
রান তাড়া করে বাংলাদেশের সামনে ছিল আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর পরীক্ষা। অনেকদিন ধরেই দলের ব্যাটিংটা ঠিকঠাক হচ্ছে না। প্রস্তুতি ম্যাচ হলেও স্বস্তির বার্তাই ছিল ব্যাটিংয়ে, বিশেষত উদ্বোধনী ব্যাটাররা ভরসা যুগিয়েছেন দলকে। লিটন দাসের সঙ্গে তানজিদ হাসান তামিমের জুটিতে বাংলাদে পেয়েছে একশ ছাড়ানো উদ্বোধনী জুটি।
দুজনেই পেয়েছেন হাফ সেঞ্চুরির দেখা। লিটন দাস রান খরা কাটিয়ে খেলেছেন বিশ্বকাপের আগে আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়ার মতো ইনিংস। ১০ চারে ৫৬ বলে ৬১ রান করে হেমন্তার বলে মাথিশা পাথিরানার হাতে ক্যাচ দেন তিনি। তানজিদ তামিমও দেন ভালো কিছু করতে পারার আশা। ৮৮ বলে ১০ চার ও ২ ছক্কায় ৮৪ রান করেছেন তিনি।
ব্যাটিংয়ে নামা ব্যাটারদের মধ্যে রান পাননি কেবল তাওহীদ হৃদয়। নিজের মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলেই ভেল্লালগের শিকার হন তিনি। দলের জয়ের বাকি পথটা পাড় করেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও মুশফিকুর রহিম। ৬৪ বলে ৬৭ রান করেন মিরাজ, ৪৩ বলে ৩৫ রান আসে মুশফিকের ব্যাট থেকে।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু পায় শ্রীলঙ্কা। মাঝে কাঁধে ব্যথা পেয়ে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ১৯ বলে ২২ রান করে রিটায়ার্ড হার্ট হন কুশল পেরেরা। বাংলাদেশ যখন প্রথম উইকেট পায়, তখন শ্রীলঙ্কার রান ১০৪। নাসুম আহমেদের করা ১৫তম ওভারে ক্যাচ নেন নাজমুল হোসেন শান্ত। পরের ওভারেই অবশ্য দ্বিতীয় উইকেটের দেখা পেয়ে যায় বাংলাদেশ। ৩ বলে ২ রান করা সাদিরা সামারাবিক্রমাকে ফিরিয়ে নিজের প্রথম উইকেট নেন মাহেদী হাসান। এবারও ক্যাচ নেন শান্ত।
হাফ সেঞ্চুরি করা পাথুম নিশাঙ্কার ক্যাচ নিজের বলে নিজেই নেন মাহেদী। নিশাঙ্কা ৮ চার ও ১ ছক্কায় ৬৪ বলে করেন ৬৮ রান। ৩২ বলে ১৮ রান করা আসালাঙ্কাকেও ফেরান তিনি। মাহেদীর নেওয়া তিন উইকেটে হুট করে ভেঙে পড়ে লঙ্কানদের টপ-অর্ডার। এরপর নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারিয়েছে দলটি।
নিশাঙ্কা ছাড়া আর একজনই পেয়েছেন হাফ সেঞ্চুরির দেখা। ২ চার ও ১ ছক্কায় ৭৯ বলে ৫৫ রান আসে ধনঞ্জয়া ডি সিলভার ব্যাট থেকে। তাকে আউট করেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার মাঠে ছিলেন বেশ দুর্দান্ত। দারুণ কিছু ফিল্ডিং করেছেন তিনি। বোলারদের প্রস্তুতিতে শুরুতে নতুন বলে তেমন কিছু করা যায়নি। তবে বল পুরোনো হওয়ার পর দারুণ করেছেন তারা।
৯ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন মাহেদী হাসান। সবচেয়ে বেশি ১০ ওভার করা মেহেদী হাসান মিরাজ ৩২ রান দিয়ে এক উইকেট নেন। এছাড়া একটি করে উইকেট পান তানজিম হাসান সাকিব, শরিফুল ইসলাম ও নাসুম আহমেদ।