জিততে হলে রান তাড়ার রেকর্ড গড়তে হবে; এমন সমীকরণ সামনে রেখে ব্যাটিং করছে নিউজিল্যান্ড। তবে বাংলাদেশের বোলার বিশেষ করে স্পিনারদের দাপুটে বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারছেন না কিউই ব্যাটাররা।আর তাতে চতুর্থ দিন বিকেলেই বড় জয়ের ঘ্রাণ পাচ্ছে স্বাগতিক দল।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩৭ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৮২ রান সংগ্রহ করেছে নিউজিল্যান্ড। জয় থেকে এখনও ২৫০ রান দূরে তারা। আর বাংলাদেশের চাই ৪ উইকেট।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে এর আগে দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেটে ২১২ রান নিয়ে চতুর্থ দিন শুরু করে বাংলাদেশ। দিনের প্রথম ওভারে কোনো উইকেট হারায়নি তারা। কিন্তু সাউদির করা দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন শান্ত। ১৯৮ বলে ১০৫ রানের দুর্দান্ত একটি ইনিংসের ইতি হয় তাতে।
এরপর মুশফিকুর রহিমের সঙ্গী হয়েছিলেন শাহাদাৎ হোসেন দীপু। কিন্তু তিনি বেশিক্ষণ উইকেটে টিকে থাকতে পারেননি। অভিষেক টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৯ বলে ১৮ রান করে এলবিডব্লিউ হয়েছেন তিনি।
মুশফিকও হন এলবিডব্লিউ। ১১৬ বলে ৬৭ রান করার পর এজাজ প্যাটেলকে এগিয়ে এসে খেলতে গিয়ে হন এলবিডব্লিউ। পরে রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি তিনি। তিন স্বীকৃত ব্যাটারকে হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় বাংলাদেশ। এরপর হাল ধরেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
কিন্তু তিনি হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিলেও অপর পাশের ব্যাটাররা লম্বা সময় সঙ্গ দিতে পারেননি। ২৭ বলে ১০ রান করেন নুরুল হাসান সোহান, ৭ বলে ১০ রান আসে শরিফুলের ব্যাট থেকে। ৩৩৮ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। ৭৬ বলে ৫০ রান করে অপরাজিত থাকেন মিরাজ।
৩৩২ রানের লক্ষ্যে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় কিউইরা। ইনিংসের প্রথম ওভারে ওপেনার টম ল্যাথামকে শূন্য রানে ফেরান শরিফুল ইসলাম। এরপর দশম ওভারের শেষ বলে তাইজুলের শিকার হন কেইন উইলিয়ামসন। আগের ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ানকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন ১১ রানে।
এরপর নতুন আসা হেনরি নিকোলসও (২) বেশিক্ষণ টেকেননি। মেহেদী হাসান মিরাজের ডেলিভারিতে বল তার ব্যাটের কানায় লেগে আশ্রয় নেয় নাঈম হাসানের হাতে। বিপর্যয়ের মুখে হাল ধরতে পারেননি ওপেনার ডেভন কনওয়ে (২২)। দীর্ঘ সময় ক্রিজে কাটানো এই ব্যাটারকে বিদায় করেন বাংলাদেশের বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম।
বাংলাদেশি স্পিনারদের ঘূর্ণিজাদুর কোনো জবাব দিতে পারেননি নিউজিল্যান্ডের উইকেটকিপার-ব্যাটার টম ব্লান্ডেল (৬) ও গ্লেন ফিলিপস (১২)। এর মধ্যে ব্লান্ডেলকে ফিরিয়ে ইনিংসে নিজের তৃতীয় ও ম্যাচে সপ্তম উইকেটের দেখা পান তাইজুল। এরপর ২০ রান যোগ হতেই আঘাত হানেন নাঈম হাসান। তার বলে লেগ বিফোর হয়ে বিদায় নেন ফিলিপস।