বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন থেকে অর্জিত সরকার শুরুই করল বৈষম্য দিয়ে: জ্যোতিকা

image-836181-1723259282

ছাত্র আন্দোলনের হাত ধরে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পালাবদল। টানা রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হয়েছে। সাধারণ মানুষের সঙ্গে ও পার বাংলার তারকা অভিনেতারাও অভিনন্দন জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস এবং অন্তর্বর্তী সরকারের বাকি সদস্যদের। বিষয়টি নিয়ে সরব অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতিও। তবে তার কথার সুরে ক্ষোভ, অভিমান! সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্ন তুলেছেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অর্জিত সরকার শুরুই করল বৈষম্য দিয়ে?’

কেন জ্যোতিকা এত ক্ষোভ? সে কথাও তিনি পোস্টে লিখেছেন। দেশের পরিস্থিতি আগের তুলনায় স্বাভাবিক। ফলে, যারা এত দিন সমাজমাধ্যম থেকে দূরে, তারাও ক্রমশ নিজেদের ফেসবুকে মেলে ধরছেন। সেই সুর অভিনেত্রীর লেখনীতেও— ‘নতুন বাংলাদেশের প্রথম দিন। ভয়ঙ্কর ক’টা দিনের পর, বাক্‌স্বাধীনতার প্রথম দিনে এই লেখার মধ্যে দিয়ে স্বাধীনতা উদযাপন শুরু করলাম!’ তার পরেই তিনি আসল বক্তব্যে গিয়েছেন। অভিনেত্রী জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সরকার শপথ নিয়েছে। রাষ্ট্রের এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে শুধু কুরআন রাখা হয়েছে। অন্যান্য ধর্মগ্রন্থ রাখা হয়নি! এতেই তিনি অবাক এবং বিস্মিত।

কারণ, বরাবর দেখে এসেছেন, বাংলাদেশে যে সব অনুষ্ঠানে ধর্মগ্রন্থ রাখা করা হয়, সেখানে কুরআন, গীতা, বাইবেল ও ত্রিপিটকও থাকে। অথচ, এ দিন কেবল একটি ধর্মগ্রন্থই রাখা হয়েছে। তার আরও যুক্তি, ব্যক্তিগত ভাবে তিনি রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে ধর্মগ্রন্থ রাখার প্রয়োজনীয়তা দেখেন না। কিন্তু যা এত দিন ধরে যা পালিত হয়ে আসছে, তার অন্যথাই বা ঘটবে কেন, জানতে চেয়েছেন জ্যোতিকা। তাই তার ক্ষোভ, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন থেকে যে সরকারের জন্ম, তাকে তো শুরু থেকে বৈষম্যহীন হতে হবে! অভিনেত্রীর মন্তব্যবাক্সে ইতিমধ্যেই তাকে অনেকে সমর্থন জানিয়েছেন। খবর আনন্দবাজার অনলাইনের।

Pin It