জুলাই আন্দোলনের আলোচিত শহীদ মীর মুগ্ধের যমজ ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ সম্প্রতি বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। দলীয় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ভার্চুয়াল উপস্থিতিতে মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ বিএনপির সদস্য ফরম পূরণ করেন।এরই মধ্যে মীর স্নিগ্ধকে অতিথি করে স্থানীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দকে উঠান বৈঠকের উদ্যোগ নিতেও দেখা গেছে।
জুলাই আন্দোলনের সময় উত্তরা এলাকায় শহীদ হন মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ। এরপর থেকেই তাদের পরিবার উত্তরার রাজনীতিতে পরিচিত হয়ে ওঠে। গত ৫ আগস্ট মীর স্নিগ্ধ ‘জুলাই ফাউন্ডেশন’-এর সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর তার সামাজিক গ্রহণযোগ্যতাও আরও বৃদ্ধি পায়।
তবে তার হঠাৎ বিএনপিতে যোগদানে কিছু স্থানীয় নেতা ও বাসিন্দা অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। উত্তরার স্থানীয় বাসিন্দাদের কেউ কেউ বলছেন, বিএনপিতে যোগ দিয়ে মীর স্নিগ্ধ ক্ষমতার রাজনীতির পেছনে ছুটছেন। জুলাই শহীদের ভাই হওয়ায় ভোটের রাজনীতিতে তাকে কাজে লাগানো হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধের বেড়ে ওঠা বিএনপি পরিবারেই। তার বাবা মীর মোস্তাফিজুর রহমান (বাবুল) ছাত্রজীবনে বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। ১৯৮৬-৮৭ ও ১৯৮৯-৯০ এই দুই মেয়াদে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল। ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মনবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন তিনি। ছেলে মীর স্নিগ্ধের বিএনপিতে যোগদানের সময় ভার্চুয়ালি তারেক রহমানের উপস্থিতিতে তিনিও বৈঠকটিতে হাজির ছিলেন।
স্নিগ্ধ বলেন, আমি এখন একটি দলের কর্মী। দল থেকে আমাকে যেভাবে নির্দেশনা দেওয়া হবে, আমি সেভাবেই কাজ করব। আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে দক্ষিণখানের গাওয়াইরে এক সড়ক উন্নয়ন কাজের অনুষ্ঠানে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ঢাকা-১৮ আসনে আমাদের যে এলাকাগুলো রয়েছে এই এলাকাগুলোকে সর্বোচ্চ নিরাপদ এবং বাংলাদেশের একটি মডেল এলাকা হিসেবে আমরা তৈরি করব। পুরো বাংলাদেশ ঢাকা-১৮ আসনকে দেখে সবাই যেন গর্বিত হয়। আসন নিয়ে এমন স্পষ্ট বক্তব্যে স্নিগ্ধের নির্বাচনী পরিকল্পনা রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই।





