এবার বাণিজ্যিক ফ্লাইট চালু করবে বিমান বাহিনী

image-99817-1571907511

বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত বলেছেন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ায় আমাদের দেশের এক কোটি মানুষ রয়েছেন। তাদের যাতায়াতের জন্য দেশে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর নিজস্ব তত্ত্বাবধানে স্বল্পব্যয়ে গণপরিবহন হিসেবে সিভিল বিমান কার্যক্রম চালু করা হবে।

যশোরে অবস্থিত বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান ঘাঁটি মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ৫ ও ৬ নম্বর বেসিক জেট ও ফাইটার কনভার্শন কোর্স, বেসিক হেলিকপ্টার কনভার্শন কোর্স ও বেসিক ট্রান্সপোর্ট কনভার্শন কোর্সের সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অর্জিত দক্ষতা ও পেশাদারিত্ব ভবিষ্যতে যেকোনো অপারেশনাল স্কোয়াড্রনে দায়িত্ব পালনে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে। তিনি বলেন, সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে আমাদের অনেক উন্নয়ন হয়েছে। আগামী বছর পহেলা জানুয়ারি থেকে আমাদের দেশে অ্যারোনটিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে বিমান এবং সমুদ্রবিজ্ঞান বিষয়ে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের সূচনা হবে।

বিমান বাহিনী প্রধান তার বক্তৃতায় দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, বিশ্বে মাছ উৎপাদনে আমরা তৃতীয় এবং ধান উৎপাদনে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছি। বাংলা ভাষাভাষি মানুষের সংখ্যা পৃথিবীতে অষ্টম। জিডিপিতে আমাদের অবস্থা ৮ দশমিক এক শতাংশ। শিগগিরই আমাদের জিডিপি দুই ডিজিটে পৌঁছাবে। আমাদের শিক্ষা, জনসম্পদ সবই রয়েছে। নেতৃত্বের গুণে আমরা ২০২১ সালে উন্নয়নশীল দেশে উপনীত হবো। বিমান বাহিনীও সব ক্ষেত্রেই উন্নয়নের শিখরে পৌঁছাবে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও আমরা ভূমিকা রাখছি। দুর্যোগে মানুষের পাশে থেকে কল্যাণের চেষ্টা করছি।

তিনি বলেন, এভিয়েশন ক্ষেত্রে আমরা ক্রমাগত উন্নতি করছি। ১৯৭৩ সালে আমরা মার্ক-২ যুগে ছিলাম। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আমরা আধুনিক হচ্ছি। আমাদের উদ্যমের প্রতিফলন ঘটছে। এটা শুধু দেশেই নয়, বিদেশে এমনকি ইউএন মিশনেও এর প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে। আসলে আর্শ্চযজনকভাবে আমাদের উন্নয়ন ঘটছে। আগামীতে এই ইন্ডাস্ট্রিতে আরও তিনগুণ মানুষ সম্পৃক্ত হবে।

অনুষ্ঠানে কোর্সে অংশগ্রহণকারী ৩০জন প্রশিক্ষণার্থী কর্মকর্তা সনদপত্র লাভ করেন। তাদের মধ্যে সেরা একাডেমিক কৃতিত্বের জন্য ৫জন কর্মকর্তা ওসমানী গোল্ড মেডেল লাভ করেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান ঘাঁটি অধিনায়ক এয়ার ভাইস মার্শাল নজরুল ইসলাম, একাডেমি কমান্ড্যান্ট এয়ার কমোডর হায়দার আলীসহ বিমান বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Pin It