চুলের যত্নে আদার রস

01_ginger_290416_031

আদার পুষ্টি উপাদান কেবল শরীর সুস্থ রাখে না বরং চুলও সুন্দর রাখে।

রূপচর্চা-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে যুক্তরাষ্ট্রের চুলের প্রসাধনী তৈরির প্রতিষ্ঠান ‘জন পল মিশেল’এর প্রযুক্তি-বিষয়ক প্রশিক্ষক চাঁদনি কামদারের দেওয়া তথ্য অবলম্বনে জানানো হল বিস্তারিত।

চুলের বৃদ্ধি: স্বাস্থ্যকর চুল মানে চুলের গোড়া সুস্থ রাখা। চুলের বৃদ্ধির জন্য মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন হওয়া জরুরি। এতে চুলে পুষ্টি উপাদান ছড়িয়ে পড়ে।

কামদার জানান, আদাতে থাকা জিঞ্জারল নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা মাথার ত্বককে প্রভাবিত করে এবং চুলের কোষ ক্ষতিকারক উন্মুক্ত রেডিকেলের বিরুদ্ধে কাজ করে চুল পাতলা হওয়া অর্থাৎ পড়ে যাওয়া কমায়।

চুলের ক্ষয় পূরণ: দূষণ, সূর্যরশ্মি ও জীবন যাত্রার কারণে চুলের উজ্জ্বলতা হারিয়ে যায়। খনিজ, পুষ্টি ও অত্যাবশ্যকীয় তেল সমৃদ্ধ আদা প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে।

চুলের রুক্ষতা ও মলিনতা দূর করতে আদা ব্যবহার করা যায়। এর কন্ডিশনিং উপাদান চুল আর্দ্র রাখে ও কিউটিকেল মসৃণ করে রুক্ষতা ও কোঁকড়াভাব দূর করে মোহনীয়ভাব ফুটিয়ে তোলে।

খুশকি দূর করে: গরমে মাথার ত্বকে নানান সমস্যা দেখা দেয়। চুলের স্বাস্থ্য খারাপ হওয়ার পেছনে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে খুশকি। যার ফলে চুল পড়ার সমস্যা দেখা দেয়।

গরমের কারণে হওয়া এসব সমস্যা দূর করতে আদা দূর করতে পারে। আদার প্রদাহ নাশক ও অ্যান্টিসেপ্টিক উপাদান যা, মাথার ত্বক পরিষ্কার ও সুস্থ রাখতে সহায়তা করে বলে জানান, কামদার।

মাথার ত্বকের প্রদাহ দূর: মাথার ত্বক সংবেদনশীল হলে তাতে দেখা দিতে পারে প্রদাহ। প্রদাহ কমাতে আদা খুব ভালো কাজ করে। আদার ‘বেটা-সিটোস্টেরল’ নামক উপাদান মাথার ত্বকের শুষ্কতা দূর করে প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে বলে জানান, কামদার।

আদার নির্যাস সমৃদ্ধ চুলের প্রসাধনী ব্যবহার করতে পারেন। অথবা চুলের মাস্কের সঙ্গে আদা ছেঁচে রস বের করেও চুলে ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায়।

Pin It