রেমিট্যান্স বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত, আট মাসে বেড়েছে ৩৩ শতাংশ

image-226466-1614727646

করোনা শুরু হওয়ার পরে রেমিট্যান্স কমে যাবে বলে আশঙ্কা করা হয়েছিল। পরে তা বাড়তে থাকে। এখনো সে ধারা অব্যাহত আছে। মূলত, যখন থেকে ২ শতাংশ হারে নগদ প্রণোদনা দেওয়া শুরু হয় তারপর থেকে প্রতিমাসেই রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ছে।

চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) দেশে ১ হাজার ৬৬৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে প্রবাসী বাংলাদেশিরা। ৮৫ টাকা ডলার হিসেবে দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ১ লাখ ৪১ হাজার ৮৬৫ কোটি টাকা।

গত অর্থবছরে একই সময়ে রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ২৪৯ কোটি ৮০ লাখ ডলার। এক বছরের ব্যবধানে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে ৩৩ শতাংশেরও বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরে ফেব্রুয়ারি মাসে ব্যাংকিং চ্যানেলে ১৭৮ কোটি ডলার বা ১৫ হাজার ১৩০ কোটি টাকা রেমিট্যান্স এসেছে। আগের বছরের একই মাসে রেমিট্যান্স আসে ১৪৫ কোটি ডলার।

এই হিসেবে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে প্রায় ২৩ শতাংশ। গত অর্থবছরের জুলাই থেকে রেমিট্যান্সের ওপর ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। পাশাপাশি ডলারের দর বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। আবার এজেন্ট ব্যাংকিং, মোবাইল ব্যাংকিংসহ বিভিন্ন উপায়ে ঘরের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার সুযোগও রেমিট্যান্স বাড়ানোর ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা রাখছে। কোনো ঝামেলা ছাড়াই সুবিধাভোগীকে প্রণোদনার অর্থ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে বিভিন্ন নির্দেশনা দিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এতে অনেকে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহী হচ্ছেন। ব্যাংকার ও খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ছে মূলত দুইটি কারণে। একটি হলো রেমিট্যান্সে দুই শতাংশ প্রণোদনা দেওয়া এবং অন্যটি ডলারের মূল্য বৃদ্ধি। এখন ডলারের বিপরীতে বেশি টাকা পাওয়া যাচ্ছে। ২০১৯ সালের শুরুতে আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে ডলারের দাম ছিল ৮৩ টাকা ৯০ পয়সা। এখন তা ৮৪ টাকা ৯৫ পয়সা দাঁড়িয়েছে। অর্থাত্ গত এক বছরে আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে ডলারের দাম এক টাকার বেশি বেড়েছে।

Pin It