সিদ্ধিরগঞ্জে অন্তত ২০ ছাত্রীকে ধর্ষণ, ২ শিক্ষককে র‍্যাবে সোপর্দ

image-65795-1561642127

সিদ্ধিরগঞ্জে আপত্তিকর ছবি তুলে অসংখ্য ছাত্রীকে ব্লাকমেইল করে পালাক্রমে ধর্ষণ করার অভিযোগ রয়েছে দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ও অভিভাবকরা অভিযুক্ত ওই দুই শিক্ষককে গণধোলাই দিয়ে র‌্যাবের হাতে সোপর্দ করেছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় সিদ্ধিরগঞ্জের কান্দাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে র‌্যাব ও পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার ও আপত্তিকর একাধিক ছবি উদ্ধার করে।

জানা যায়, গত ৮ বছর ধরে এ স্কুলে গণিত ও ইংরেজি বিষয়ে শিক্ষকতা করে আসছেন অক্সফোর্ড হাই স্কুলের সহকারী শিক্ষক আরিফুল ইসলাম। সে বিভিন্ন সময়ে আপত্তিকর ছবি তুলে অসংখ্য ছাত্রীকে ব্লাকমেইল করে ধর্ষণ করতে বাধ্য করতো বলে জানা গেছে। ছাত্রীদের কোচিংয়ে পড়ানোর জন্য তার বাসা ছাড়াও স্কুলের পাশে বুকস গার্ডেন এলাকায় একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেয়। তার স্ত্রী ও সন্তান না থাকলেও ওই ফ্ল্যাটে তিনটি খাটছিল বলে জানায় বাড়ির দারোয়ান।

গত তিনদিন যাবত তার অনৈতিক কর্মকাণ্ডগুলো এলাকায় প্রচার হতে থাকে। এক পর্যায়ে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ওই স্কুলে গেলে আরিফু ইসলাম তার মোবাইলে থাকা আপত্তিকর ছবিগুলো মুছে ফেলে। পরবর্তীতে এলাকাবাসী ওই মোবাইল উদ্ধার করে এলাকার একটি মোবাইল দোকানে সফটওয়ারের মাধ্যমে ছবিগুলো উদ্ধার করে। এ সময় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ওই স্কুলে হামলা চালায় এবং লম্পট শিক্ষক আরিফুল ইসলাম ও স্কুলের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জুলফিকারকে গণধোলাই দেয়। স্কুলের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জুলফিকার লম্পট শিক্ষক আরিফুল ইসলামকে সহযোগীতা করে আসছিল। খবর পেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও র‌্যাব ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত দুই শিক্ষককে আটক করে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক জানান, তার মেয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ার সময় ওই শিক্ষকের কর্তৃক যৌন লালসার শিকার হয়। সে এখন নবম শ্রেণিতে পড়ছে। গত ২/৩ দিন আগে এ ব্যাপারটি জানতে পেরে এলাকাবাসীরা ক্ষুব্ধ হয়।

এলাকাবাসী জানায়, তার অপরাধগুলোকে সহযোগিতা করতো স্কুলের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জুলফিকার। তিনমাস আগে স্কুলের এক শিক্ষিকার সঙ্গেও ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানী করার অভিযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে র‌্যাব-১১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলেপ উদ্দিন জানান, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তার মোবাইল ও মোবাইলে থাকা ছাত্রীদের সঙ্গে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অনেক ছবি ও ভিডিও উদ্ধার করেছি। ২০ জনের অধিক ছাত্রীকে ওই শিক্ষক ব্লাকমেইল করে ধর্ষণ করেছে, যা প্রাথমকিভাবে ওই শিক্ষক আমাদের কাছে স্বীকার করেছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’

Pin It