বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ফের রেকর্ড ভেঙ্গে ৩৪ বিলিয়ন (৩ হাজার ৪০০ কোটি ) মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে। দেশের ইতিহাসে এটি সর্বোচ্চ রিজার্ভ। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় ২৯০ হাজার কোটি টাকা। এ রিজার্ভ দিয়ে ৮ মাসের বেশি আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। আমদানি, রপ্তানীসহ বৈদেশিক বাণিজ্য স্থবির হয়ে যাওয়া এবং রেমিট্যান্স আয় বাড়ার কারণে বিপুল পরিমাণ রিজার্ভ জমছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, বুধবার দিন শেষে প্রথমবারের মত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৪ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। রাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান, দিন শেষে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৪২৩ কোটি ডলার।
এর আগে গত ২০১৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর সবচেয়ে বেশি রিজার্ভ ছিল। সেদিন রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল ৩ হাজার ৩৬৩ কোটি ডলার। এরপর রিজার্ভ কমতে থাকে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসেবে, চলতি অর্থবছরের প্রথম থেকে মঙ্গলবার অর্থাৎ ২ জুন পর্যন্ত দেশে এক হাজার ৬৫০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।
যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ শতাংশ বেশি। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের কাছে অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রার মজুদ থাকতে হয়। বাংলাদেশের কাছে এখন যে পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ আছে তা দিয়ে ৮ মাসের বেশি আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।