শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেছেন, তালিকাভুক্ত যেসব কোম্পানির পরিচালকদের দুই শতাংশ শেয়ার নেই, তাদের পদ ছাড়তে হবে। যারা খারাপ উদ্দেশ্যে শেয়ারবাজারে এসে বিনিয়োগকারীদের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন, কোম্পানি ভালোভাবে চালাচ্ছেন না, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বিএসইসি। তালিকাভুক্ত কোম্পানিতে যেসব স্বতন্ত্র পরিচালক দায়িত্ব পালন করেন, তাদেরও জবাবদিহির আওতায় আনা হবে। বেশিরভাগ স্বতন্ত্র পরিচালক তাদের ওপর দায়িত্ব পালন করছেন না। এটি সত্যিই দুঃখজনক বলে তিনি মন্তব্য করেন।
শনিবার মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর সংগঠন বিএমবিএ ও শেয়ারবাজার বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন সিএমজেএফ আয়োজিত অনলাইন আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
চেয়ারম্যান বলেন, ন্যূনতম শেয়ার ধারণ-সংক্রান্ত নির্দেশনার সময়সীমা শেষ হওয়ার পরও যেসব পরিচালক ন্যূনতম শেয়ার ধারণে ব্যর্থ হবেন, তাদের অপসারণ করা হবে। তবে কিছু পরিচালক আর্থিক সংকটের কথা জানিয়ে বাড়তি সময় চেয়েছেন। তাদের সময় দিচ্ছি। আর নির্ধারিত সময়ে শেয়ার কিনবেন না, তাদের সরে যেতে হবে। এর অন্যথা হবে না। প্রয়োজনে কোম্পানির বোর্ড ভেঙে দিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ স্বতন্ত্র পরিচালক দিয়ে সেই বোর্ড পুনর্গঠন করা হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশ নেন ঢাকা স্টক এপচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান ইউনুসুর রহমান, চট্টগ্রাম স্টক এপচেঞ্জের (সিএসই) চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম, সম্পদ ব্যবস্থাপকদের সংগঠনের সভাপতি হাসান ইমাম, ডিএসই ব্রোকারস সংগঠন ডিবিএর সভাপতি শরীফ আনোয়ার হোসেন, ডিএসইর পরিচালক রকিবুর রহমান ও মিনহাজ মান্নান ইমন, ডিএসই সাবেক পরিচালক আহমেদ রশীদ লালি ও বিএমবিএর মহাসচিব রিয়াদ মতিন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মার্চেন্ট ব্যাংক আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান। স্বাগত বক্তব্য দেন বিএমবিএর সভাপতি ছায়েদুর রহমান ও সিএমজেএফ সভাপতি হাসান ইমাম।
মনিরুজ্জামান বলেন, শেয়ারবাজার স্থিতিশীল করতে তালিকাভুক্ত কোম্পানির সংখ্যা বাড়ানোর চেয়ে বেশি দরকার ভালো কোম্পানির। শেয়ারবাজারে কত কোম্পানি আছে, তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ কতগুলো ভালো কোম্পানি আছে।