যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে টানা দুই হারে লজ্জার নজির গড়ল টাইগাররা

image-808500-1716489533

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে যুক্তরাষ্ট্রের মতো আইসিসির সহযোগী দলের বিপক্ষে টানা দুই ম্যাচে হেরে সিরিজ হারের লজ্জার নজির গড়ল টাইগাররা। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ হাতছাড়া সাকিব-শান্তদের।

আগামী মাসের শুরুতেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপের নবম আসরে অংশ নেওয়ার আগে প্রস্তুতি জোরদারের লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মতো তুলনামূলক দুর্বল প্রতিপক্ষের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ।

আইসিসির এই সহযোগী সদস্য দলের বিপক্ষে টানা দুই ম্যাচে হেরে সিরিজ হাতছাড়া করে লজ্জার নজির গড়ল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।

সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ১৫৩/৬ রান করে ৫ উইকেটে হারে টাইগাররা। আজ দ্বিতীয় ম্যাচে ১৪৫ রানের মামুলি স্কোর তাড়া করতে নেমে ১৯.৩ ওভারে মাত্র ১৩৮ রানে অলআউট হয় নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্বাধীন দলটি। দলের চরম ব্যাটিং বিপর্য়য়ের কারণে ৬ রানে হেরে যায় বাংলাদেশ।

সিরিজের প্রথম ম্যাচে তাওহিদ হৃদয়ের ৫৮ রানের ইনিংসের পরও ১৫৩ রানের বেশি করতে পারেনি বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে ৫ উইকেটে হেরে ব্যাকফুটে চলে যায় নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্বাধীন দলটি।

আজ সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি দুই দল। এই ম্যাচে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৪৪ রান করে যুক্তরাষ্ট্র।

এদিন টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে যুক্তরাষ্ট্র। উদ্বোধনী জুটিতে ৬.৩ ওভারে ৪৪ রান করেন দুই ওপেনার স্টেভেন টেলর ও মোনাঙ্ক প্যাটেল।

২৮ বলে তিন চার আর দুই ছক্কায় ৩১ রান করে রিশাদ হোসেনের লেগ স্পিনে বিভ্রান্ত হন স্টেভেন টেলর। তিন নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে কিছু বুঝে ওঠার আগেই গোল্ডেন ডাক মারেন আন্দ্রিস গুস। পরপর দুই বলে ২ উইকেট শিকার করে দলকে খেলায় ফেরান রিশাদ।

এরপর অ্যারন জোন্সকে সঙ্গে নিয়ে ৫৬ বলে ফের ৬০ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক মোনাঙ্ক প্যাটেল। ৩৪ বলে তিন চার আর এক ছক্কায় ৩৪ রান করে মোস্তাফিজের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন অ্যারন জোন্স।

পাঁচ নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে ১০ বলে ১১ রান করে শরিফুলের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক তারকা অলরাউন্ডার কোরি অ্যান্ডারসন।

ওই ওভারের চতুর্থ বলে ওপেনার মোনাঙ্ক প্যাটেলকে বোল্ড করেন শরিফুল। সাজঘরে ফেরার আগে ৩৮ বলে চারটি চার আর এক ছক্কায় ৪২ রান করেন মোনাঙ্ক প্যাটেল।

২০তম ওভারে মোস্তাফিজের প্রথম বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন হারমিত সিং। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রান করে যুক্তরাষ্ট্র।

বাংলাদেশ দলের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন দুই পেসার শরিফুল ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমান। ২ উইকেট নেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন।

টার্গেট তাড়া করতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারেই ওপেনার সৌম্য সরকারের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ১ রানে ১ উইকেট পতনের পর ইনিংস মেরামত করার আগেই আউট হন আরেক ওপেনার তানজিদ হাসান তামমি। তিনি দলীয় ৩০ রানে ফেরেন।

এরপর তাওহিদ হৃদয়ের সঙ্গে ৩৭ বলে ৪৮ রানের জুটি গড়ে ফেরেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। সাম্প্রতিক সময়ে অফ ফর্মে থাকা অধিনায়ক শান্ত এদিনও বড় স্কোর গড়তে পারেননি। আগের ম্যাচে মাত্র ৩ রানে আউট হওয়া শান্ত এদিন ফেরেন ৩৪ বলে দুই চার আর এক ছক্কায় ৩৬ রান করে।

দলীয় ৯২ রানে চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরেন তাওহিদ হৃদয়। তিনি ২১ বলে ২৫ রান করে ফেরেন। আগের ম্যাচে করেছিলেন দলীয় সর্বোচ্চ ৫৮ রান। দলীয় ১০৬ রানে পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরেন সাবেক অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

সাকিব ২৩ বলে ৩০ রান করে ফেরেন। এরপর আসা-যাওয়ার মিছিলে অংশ নেন জাকির আলি অনিক, তানজিম হাসান সাকিব, শরিফুল ইসলাম ও রিশাদ হোসেনরা। চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ের কারণে হাতে ৪ উইকেট থাকার পরও শেষ ১৮ বলে ২১ রান করতে পারেনি বাংলাদেশ।

Pin It