বাংলাদেশে আরও বেশি বিনিয়োগ আনার লক্ষ্যে কোরিয়ান রাষ্ট্রদূতকে উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত উদ্দীপনা প্যাকেজের সহায়তায় বাংলাদেশের অর্থনীতি করোনা মহামারি থেকে প্রত্যাবর্তন শুরু করেছে। নির্মাণ, উচ্চ-প্রযুক্তি ও উৎপাদন খাতে কোরিয়া থেকে বিনিয়োগ আনার এটি অত্যন্ত ভালো সময়।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় নবনিযুক্ত দক্ষিণ কোরীয় রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং-কেউন অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। অর্থমন্ত্রী নবনিযুক্ত কোরিয়ান রাষ্ট্রদূতকে সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বাংলাদেশে কোরিয়ান ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সম্পর্কে ইতিবাচক অভিজ্ঞতার কথা স্মরণ করে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উভয় ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব অগ্রগতি সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী জাং-কেউনকে অবহিত করেন।
বাংলাদেশে কোরিয়ার নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত লি জাং-কেউন প্রথম বৈঠকে অর্থমন্ত্রীর প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়ে এবং বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে উন্নয়ন অংশীদার এবং বিনিয়োগ অংশীদার হিসাবে কাজ করার আগ্রহের কথা জানান। কোরিয়ায় অনেক বাংলাদেশি প্রবাসী কাজ করছেন এবং বাংলাদেশে রেমিট্যান্স প্রেরণের ক্ষেত্রে কোরিয়া অন্যতম দেশ। তিনি বাংলাদেশি শ্রমিকদের সাধুবাদ জানান।
তিনি বাংলাদেশে কোরিয়ান বিনিয়োগের সাম্প্রতিক উন্নয়নের কথা উল্লেখ করেন, বিশেষ করে স্যামস্যাংয়ের মোবাইল অ্যাসেম্বলিং এবং হুন্দাইয়ের স্থানীয় অংশীদারের সঙ্গে অটোমোবাইল অ্যাসেম্বলিং প্ল্যান্ট সম্পর্কে।
এ সময় অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকারি প্রকল্পে কাজ করার বিষয়েও কোরিয়ান নির্মাণ সংস্থাগুলোর প্রতি সরকারের আস্থা রয়েছে। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের মাধ্যমে মেঘনায় তৃতীয় সেতুটি নির্মাণের যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে সেখানেও কোরিয়ান সংস্থাকে দেয়ার আগ্রহ দেখাচ্ছে বলেও জানান তিনি।